:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় অপহরণের পর খুন হওয়া শিশুকন্যা আয়াতের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে পিবিআই। বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে পতেঙ্গার আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেটের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তা উদ্ধার করা হয়। দেহের বাকি অংশের খোঁজে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে, বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের আকমল আলী ঘাটে স্লুইস গেটের ভেতর থেকে পাওয়া যায় শিশুকন্যা আয়াতের মরদেহের খণ্ডাংশ।
পিবিআই বলছে, ঘাতক আবির আলী শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ছয় টুকরো করে দেহ খালে ও সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
পিবিআই জানিয়েছে, এই ঘটনায় আবিরের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার (মেট্রো) নাইমা সুলতানা জানান, আবির আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সহ তার পরিবারের সদস্যদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার সময় তাদের অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের পর আয়াতের পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে ফোনকলের বিষয়টি প্রতারকচক্রের কাজ।
স্বজনরা বলছে, এমন পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
১৫ নভেম্বর বিকালে ইপিজেড থানা এলাকার নয়াহাটের নিজ বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের আলিনা ইসলাম আয়াত।
এর আগে শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর রাতে আবীর আলী (১৯) নামে এ যুবককে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে ২৫ নভেম্বর আবীরকে নিয়ে আকমল আলী সড়কের স্লুইস গেট সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু সাগরের পানিতে ভেসে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত সোমবার নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে আবীর আলীর মা-বাবা ও এক বোনকে আটক করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে আবীরের বাবা মাকে আদালতে নেওয়া হলে ৩ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত।