একদিনে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বলদিয়া সীমান্তে একজন এবং সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসানুর রহমান (২৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন।

রোববার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার খৈতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কৈজুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসানুর উপজেলার কুশখালী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।

হায়দার আলী জানান, তার ছেলের পাসপোর্ট নেই। কয়েকদিন আগে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রোববার ভোরে কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরছিলেন। পথে কৈজুরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসানুর বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

তিনি আরও জানান, হাসানুরের সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে ভোর সোয়া ৬টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় রেফার করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক হাসানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বলেন, নিহত হাসানুরের বুকে গুলি লেগেছে। এলজির গুলি বলে মনে হচ্ছে। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্ল্যাগ মিটিং এর জন্য বিএসএফকে পত্র পাঠানো হয়েছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বলদিয়া সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে মোনাজাত আলী (৪০) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ছোট বলদিয়া সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোনাজাত আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।

নিহতের মেজো ভাই ইন্তাজুল আলী জানান, রাতে সীমান্তে মহিষ আনতে যান মোনাজাত। রাত ১টার দিকে সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের অপর পাশ থেকে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন ভারতের ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্প সদস্যরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোনাজাত। পরে তার মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গরু ব্যবসায়ী মোনাজাত আলী দামুড়হুদার ছোট বলদিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু আনতে যান। গরু আনতে গিয়ে রোববার রাতে ভারতীয় অংশে প্রবেশ করেন। এরপর ভারত থেকে মহিষ আনার চেষ্টা করলে টহলরত বিএসএফ টের পেয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘মোনাজাত আলী পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি প্রায় ভারত থেকে গরু নিয়ে আসেন। গত রাতেও গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বলে শুনেছি।’

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

এর আগে, এদিন ভোর ৪টার দিকে সাতক্ষীরার কুশখালীর খৈতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসানুর রহমান (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। হাসানুর উপজেলার কুশখালী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।

হায়দার আলী জানান, তার ছেলের পাসপোর্ট নেই। কয়েক দিন আগে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রোববার ভোরে কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরছিলেন। পথে কৈজুরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসানুর বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে ভোর সোয়া ৬টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় স্থানান্তর করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক হাসানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *