চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৯,৯৩৮ জনের মৃত্যু

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

চীনে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে জানুয়ারির ১২ তারিখ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের এই সরকারি কর্মকর্তার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে ৫ হাজার ৫০৩ জন করোনার কারণে শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। আর বাকি ৫৪ হাজার ৪৩৫ জন করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যেসব করোনা রোগীর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে, শুধু তাঁদের নিয়েই এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ডিসেম্বরে চীনে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ। চীনের বড় বড় শহরে স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো। সেবাও পাওয়া যায় খুব সহজে। কিন্তু এসব হাসপাতালে এখন শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত পেকিং বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণার পর জানিয়েছে, দেশটিতে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আর দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬৪ শতাংশ।

ইয়াহুই আরও বলেন, দেশজুড়ে জ্বর নিয়ে ক্লিনিকে যাওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমতে শুরু করেছে। জরুরি সেবাগ্রহণকারী রোগীর সংখ্যাও কমছে। কোভিড-১৯ সংক্রমিতের সংখ্যাও স্থিতিশীলভাবে কমে আসছে। 

এদিকে, চীন স্বাস্থ্য খাতে নজরদারি বৃদ্ধি করবে এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার ব্যবস্থাপনা করবে বলে জানিয়েছেন সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কমিশন কর্মকর্তা ওয়েন ডাক্সিয়াঙ। তিনি জানান, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ের চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। 

কোভিডের সঙ্গে অন্য রোগের কারণে মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪৩৫। মৃতদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীর বয়স ৬৫ বছরের উপর।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর পর ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাপট দেখায় ভাইরাস। তবে পরবর্তী সময়ে চীনে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করা হয়। গত বছরে চীনে আবার করোনার দাপাদাপি শুরু হয়। সংক্রমণ মোকাবিলায় সে দেশে ‘শূন্য কোভিড নীতি’ চালু করা হয়। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গর্জে ওঠেন সে দেশের নাগরিকদের একাংশ। শেষে বাধ্য হয়ে করোনা মোকাবিলায় ‘শূন্য কোভিড নীতি’ প্রত্যাহার করে নেয় বেইজিং। এর পর থেকেই আবার চীনে সংক্রমণ বাড়তে থাকে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *