ডিএসসিসির ৩ ওয়ার্ড ডেঙ্গু সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসির তিনটি ওয়ার্ড ডেঙ্গু সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ডিএসসিসির ওই তিনটি ওয়ার্ড হল ৩৮, ৪০ ও ৪৫। 

আগের বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে এমন পাত্র এবং সম্ভাব্য প্রজননস্থলের সংখ্যা বেড়েছে। 

এই মশার লার্ভা বেশি রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী, গুলশান, লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর  এবং দক্ষিণ সিটির নবাবপুর, দয়াগঞ্জ ও ডিস্টিলারি রোড এলাকায়।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক বর্ষা এডিস জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কীটতাত্ত্বিক দল গত ২৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই জরিপ চালায়। ঢাকার দুই সিটির মোট ৯৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ পরিচালিত হয়। 

প্রাক্‌ বর্ষা এই জরিপের ফলাফল আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবন মিলনায়তনে প্রকাশ করা হয়।

মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স‘ নামে পরিচিত। জরিপ বলছে ২৩টি ওয়ার্ডে ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ ১০–এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ১০টি পাত্রে এডিস মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। আর ২০–এর বেশি ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডে। 

সর্বোচ্চ ব্রুটো ইনডেক্স ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ পাওয়া গেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে (ডিস্টিলারি রোড)। ব্রুটো ইনডেক্স ২০ শতাংশ পাওয়া গেছে নবাবপুর ও দয়াগঞ্জ এলাকায়। আর উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী, গুলশান, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

জরিপের ফল অনুযায়ী, ভেজা মেঝে, প্লাস্টিক ড্রাম, প্লাস্টিকের পাত্র এবং পানির ট্যাংকে মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল। প্রায় ২৪ শতাংশ প্লাস্টিক ড্রাম মশার প্রজননস্থল, যা গত বছর ছিল ১৯ শতাংশ। পানি জমে থাকা মেঝের মধ্যে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রজননস্থল। গতবার যা ছিল ২০ দশমিক ২২ শতাংশ।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *