তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

তুরস্ক-সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ১২ দিন পর নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। দেশ দুটিতে ৮৪ হাজারের বেশি ভবন হয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূমিকম্পের ১২তম দিনে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। 

কিরগিজস্তানের শ্রমিকরা গতকাল শনিবার দক্ষিণ তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সিরিয়ান পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুতে প্রকাশিত ছবিতে জানা যায়, ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ার ২৯৬ ঘণ্টা পর এক পুরুষ, এক নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সংস্থাটি পরে জানায়, চেষ্টা করা সত্ত্বেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।      

ভূমিকম্পে দুই দেশে সত্তর লাখের বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইউনিসেফের ধারণা, এরই মধ্যে কয়েক হাজার শিশু মারা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূকম্পনপীড়িত তুরস্কের ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভূকম্পনপীড়িত এলাকাগুলোয় যথাসময়ে যথেষ্ট ত্রাণ না পৌঁছানোয় খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে তীব্র শীত। ক্ষুধা ও শীতে কষ্ট পাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। 

তুরস্কে এখন পর্যন্ত মোট ৪০ হাজার ৬৪২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। সিরিয়ায় নিহতের এই সংখ্যা বেশ কয়েকদিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *