:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে দায়ের করা দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন খাদিজা।
বৃহস্পতিবার এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত। একই সঙ্গে মামলার আরেক আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের অংশটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি কলাবাগান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খাদিজাতুল কুবরাকে মিরপুরের বাসা থেকে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। তখন তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। গত এক বছরে তার জামিন হয়নি। গত ১৫ মাস ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তবে তিনি যে মামলায় গ্রেফতার ছিলেন, সেই সময় মামলার বিচার শুরুই হয়নি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ছাড়া তারা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সঞ্চালক খাদিজা গ্রেফতার হলেও মেজর দেলোয়ার এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ব্রাউজ করতে করতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তার পর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।