বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ কয়েকটি বাহিনী

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ কয়েকটি বাহিনী রয়েছে। জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ১০ বাহিনী সম্পর্কে।

১. এসএএস, যুক্তরাজ্য
এসএএস [Special Air Service (SAS), United Kingdom] বাহিনী ১৯৪১-এ যুক্তরাজ্যে গঠন হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ১৯৮০ সালে ইরানি দূতাবাসে হামলার পর সাফল্যের সঙ্গে পণবন্দিদের উদ্ধার করে খ্যাতি অর্জন করে তারা। জঙ্গিদমন ও যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয় এদের।

২. নেভি সিলস, যুক্তরাষ্ট্র
নেভি সিলস [Navy SEALS, United States] আমেরিকার নৌবাহিনীর পুরুষ সদস্যদের নিয়ে তৈরি। সিআইএ তাদের গোপন অপারেশনে অংশ নেওয়ার জন্য এই নেভি সিল থেকে লোক নেওয়া হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় এরা বিশেষ ভূমিকা নেয়। পরে ইরাকও আফগানিস্তানেও যুদ্ধের সময় অংশ নেয় নেভি সিল।

৩. ডেল্টা ফোর্স, যুক্তরাষ্ট্র
ডেল্টা ফোর্স [Delta Force, United States] আমেরিকায় বারবার জঙ্গি হানার পর ১৯৯৭ তে অনুমোদন পেয়েছিল। এটি আমেরিকার গোপনতম একটি বাহিনী। শুধু জঙ্গি হানার মোকাবিলাই নয়, দেশের জন্য যে কোনও ধরনের অভিযানে অংশ নিতে সক্ষম এই বিখ্যাত ডেলটা বাহিনী।

৪. জিএসজি , জার্মানি
জিএসজি ৯ [GSG 9, Germany] জার্মানির জঙ্গি দমন শাখা হল এই বাহিনী। ১৯৭৩ সালে তৈরি হয় জার্মান পুলিশের এই বাহিনী। অপহরণ, জঙ্গি হামলার মত ঘটনায় এরা বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। স্নাইপার অপারেশনও চালায় এরা। ১৯৭৩ থেকে ২০০৩-এর মধ্যে ১৫০০ টা মিশন সম্পূর্ণ করেছে এরা।কোনও ভয়ানক অভিযানের জন্য এদের রাখা হয়।

৫. জেডব্লিউ গ্রোম, পোল্যান্ড
জেডব্লিউ গ্রোম [JW GROM, Poland] বাহিনী পোল্যান্ডে ১৯৯০-এর ১৩ জুলাই গঠন করা হয়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কাতেই তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ বাহিনী। তবে শুধুমাত্র জঙ্গি-দমন নয়, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতিতে উদ্ধারের কাজে তৈরি থাকে এরা।

৬. মার্কোস, ভারত
মার্কোস [MARCOS, India] ভারতীয় নৌবাহিনীর অংশ। জঙ্গিনাশ,পণবন্দিদের উদ্ধার কিংবা ডিরেক্ট অ্যাকশনের মত মিশনের ক্ষেত্রে এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। এরা বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত, বিশেষ অস্ত্র ধারণ করে।

৭. জিআইজিএন, ফ্রান্স
জিআইজিএন (GIGN, France) ফরাসি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ অংশ এটি। মূলত জঙ্গি দমন ও পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য এদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যে কোনও ভয়াবহ হামলার জবাব দিতে তৈরি থাকে এরা। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় গিয়ে পণবন্দিদের উদ্ধার করে আনার ক্ষেত্রে এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়।

৮. ইকো কোবরা, অস্ট্রিয়া
ইকো কোবরা [EKO Cobra, Austria] অস্ট্রিয়ার জঙ্গি-দমনকারী ইউনিট। ১৯৭৮-এ ইসরায়েলি অ্যাথলিটদের উপর হামলার পরই এই বাহিনী তৈরি করা হয়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশ নিয়েছে এরা। এটি এমন একটি ইউনিট যারা আকাশে থাকাকালীনই একটি বিমানকে হাইজ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল।

৯. জিআইএস, ইতালি
জিআইএস [GIS, Italy] ইতালির মিলিটারির একটি বিশেষ ফোর্স এটি। ১৯৭৮-এ তৈরি হয় এই ফোর্স। সন্ত্রাসবাদীদের রুখতেই এই বাহিনী তৈরি করা হয়। বর্তমানে এই বাহিনীতে আছে ১০০-র বেশি জওয়ান।

১০. এসএসজি, পাকিস্তান
এসএসজি [SSG, Pakistan] পাকিস্তানের বাহিনী যা ১৯৫৬-তে তৈরি হয়। যাকে ব্লাক স্টোরক্স “Black Storks” নামে ডাকা হয়। সাহসিকতার জন্য এরা বিখ্যাত। জঙ্গিদমন, পণবন্দিদের উদ্ধার, আচমকা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লড়ার জন্য তৈরি থাকে এরা।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *