:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
শেয়ারবাজারের টানা দরপতন থামাতে আবারও ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নির্ধারিত ওই দামের নিচে নামতে পারবে না আর কোনো শেয়ারের দাম। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী রোববার থেকে পুঁজিবাজারে ফ্লোরপ্রাইসে লেনদেনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, বৃহস্পতিবারসহ সর্বশেষ ৫ দিনের শেয়ারের গড় বাজারমূল্য হবে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস।
কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ দিলে, রেকর্ড তারিখের আগের দিনের শেয়ারের মূল্যের সাথে সেটি সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস হবে।
নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং মূল্য হবে ওই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস।
ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বিএসইসির আদেশে বলা হয়, আজকেরসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে উঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। তবে কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে।
আদেশে বলা হয়, নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এর আগে ২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ তৎকালীন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪৭৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। যা করোনার কারণে ৮ মার্চ কমে দাড়াঁয় ৪২৮৭ পয়েন্ট। আর ওইদিন দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ৯ মার্চ একদিনেই ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়। যা ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ১ম রোগী মারা যাওয়ার দিন নেমে যায় ৩৬০৪ পয়েন্টে। আতঙ্কিত শেয়ারবাজারের এমন পতন ঠেকাতে ১৯ মার্চ চালু করা হয় ফ্লোর প্রাইস।
এরপরে পর্যায়ক্রমে ৩ ধাপে বর্তমান কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন।
এরপরে ওই বছরের ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি। তৃতীয় ধাপে এসে ১৭ জুন শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়।