:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি লেখক আনি এর্নো (Annie Ernaux)। বৃহস্পতিবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি এই পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করে।
নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এক টুইটার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সাহসী ও তীক্ষ্ণ লিখনী শক্তির কারণে ২০২২ সালে ফরাসি লেখক অ্যানি এর্নোকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছিন্নতা এবং সম্মিলিত সংযমের বিষয়টি উন্মোচন করেছেন। নিজের লেখায় এর্নো ধারাবাহিকভাবে এবং বিভিন্ন কোণ থেকে লিঙ্গ, ভাষা ও শ্রেণি সম্পর্কিত বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। লেখক হিসেবে তিনি দীর্ঘপথ অতিক্রম করেছেন। কিন্তু, তার এ যাত্রাপথ ছিল খুবই কঠিন।’
‘গেটিং লস্ট’ নামে আত্মজীবনীমূলক বইয়ের জন্য এ পুরস্কার পেলেন তিনি। বইটি এক রুশ কূটনীতিকের সাথে নিজের গোপন-গভীর প্রেম নিয়ে ডায়েরির ভিত্তিতে লেখা। ৮২ বছর বয়সী লেখক এই বইয়ে মানবসম্পর্কের গভীর ও সূক্ষ্ণ দিকগুলো তুলে ধরেছেন।
এর্নোর বেশ কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস রয়েছে। অনেকগুলোই আত্মজীবনীমূলক। ১৯৭৪ সালে তাঁর লেখা প্রথম বই ‘লে আখঁমখে ভিদ’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯০ সালে ‘ক্লিনড আউট’ নামে বইটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৩ সালে আনি এর্নোর উপন্যাস ‘লা প্লাস’ প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ‘আ ম্যানস প্যালেস’ শিরোনামে। এই উপন্যাস বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। প্রখ্যাত লেখক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন আনি এর্নো।
আনি এর্নো ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং নরম্যান্ডির ছোট শহর ইভেটোতে বেড়ে উঠেন। যখন তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভুষিত করা হলো তখনও তিনি ফ্রান্সেই বসবাস করছেন।
১৯০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৪ বার পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১৯ জন এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে যথাক্রমে ১৯১৪,১৯১৮ এবং ১৯৪০,১৯৪১, ১৯৪২ ও ১৯৪৩ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এছাড়া ১৯৩৫ সালেও সাহিত্যে কাউকে নোবেল দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ সভান্তে পাবো। এছাড়া পদার্থে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন। রসায়নে যৌথভাবে তিন নোবেল জয়ী হলেন- ক্যারোলিন আর. বের্তোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস।