:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। ফলে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ভাটা পড়ায় রিজার্ভে চাপ পড়ছে। যা প্রতিনিয়ত প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার ছেড়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে এসেছিল ৫৪০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্সে এসেছিলো ৬৭১ কোটি ৩২ লাখ ডলার।
রিজার্ভ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে গতকাল এক অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এটা দিয়ে আমদানি ব্যয় কীভাবে মেটানো হবে? কারণ সামনের দিনে ডলার-সংকটে খাদ্য আমদানি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ডলার বাজারের যে অবস্থা, সরকার কি খাদ্য আমদানি করবে নাকি অন্য খরচ মেটাবে, এটা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে।
সিপিডি বলছে, আইএমএফের হিসাবে এটা প্রকৃত রিজার্ভ নয়। কারণ, এর থেকে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যয় বাবদ বাদ দিতে হবে। এ জন্য আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা দরকার।
বাংলাদেশে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারে ছুঁতে পারেনি। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ ৭ বিলিয়ন থেকে কমে ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। করোনার কারণে আমদানি কমে যাওয়া ও প্রবাসী আয়ে বড় উত্থান হলে গত বছর আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এখন তা ৩৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।