:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। কক্ষে বাইরের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশের কারণে গলাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন রিজভী।
সাধারণত ঠান্ডা খাবার খেতে পারেন না রুহুল কবির রিজভী। এমনকি প্রায় ৩০ বছর ধরে হাতের স্পর্শেও খাবার খান না। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে ৮০’র দশকে তার পেটে গুলি লাগা ও অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ম মেনেই জীবনযাপন করতে হয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিজভীকে।
এতে কারাগারে তার কষ্ট একটু বেশি হচ্ছে জানিয়ে রিজভীর সহধর্মিণী আঞ্জুমান আরা বানু বলেন, কারাগারে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করা বা কিছু দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু আদালতের হাজতখানায় এক দিন কথা বলতে পেরেছেন। কারাগারে তিনি এতটাই অসুস্থ যে, অন্যের সহায়তা ছাড়া চলাফেরা ও শুয়ে থাকতেও পারেন না। বাথরুমেও যেতে হয় অন্যের সহায়তায়।
তিনি বলেন, আদালত ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করা হয়নি। কারাগারে সাধারণ কয়েদিদের মতোই তাকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, রিজভী তো চোর-ডাকাত নন। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। একটি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ডিভিশন তার ন্যায্য প্রাপ্য। কিন্তু তাকে সেটা দেওয়া হয়নি। রিজভী দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। এর আগে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুবার তিনি মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে কারাগারে তিনি প্রচণ্ডভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তার আগের রোগগুলো আরও বেড়েছে। তিনি অবিলম্বে রিজভীর সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানান।