:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পুঁজিবাজারে লেনদেনে সার্কিট ব্রেকারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। শেয়ারের দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন এই সীমা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করে। ফলে আজকের ক্লোজিং প্রাইসের উপর ভিত্তি করে কাল সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কমতে পারবে। তবে আগের নিয়মে শেয়ারদর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছিল কমিশন।
উল্লেখ্য, সার্কিট ব্রেকারের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে যে কোনো শেয়ার দিনে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। এরপর ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি দরের শেয়ারের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংককে বিএসইসির চিঠি
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে বিশেষ তহবিল গঠনসহ নতুন বিনিয়োগের তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) কমিশনের পক্ষ থেকে সোনালি, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ অনুসারে, এককভাবে একটি ব্যাংক তার ইকুইটির ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে। ফলে বিদ্যমান আইনী সীমার মধ্যেই এ ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে আরো বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এজন্য তাদের কাছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত এই চার ব্যাংক এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেনি। ফলে প্রচলিত সুযোগের পাশাপাশি বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক তারল্য সংকটের সময় তাই এই ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু তারা সেটা করছে না। তাই এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বিশেষ তহবিল গঠনে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টিই জানতে চাওয়া হয়েছে।