ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ প্রত্যাহার

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

ব্যাপক সমালোচনার পর ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

শুক্রবার এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগিরই ‍শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।

আজ দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ দুটি বই পড়ানো বন্ধের কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন, কিছু জিনিস না থাকলেই ঠিক হতো বা এটা অনেক বেশি লিখছে। আমরা বলছি, ঠিক আছে, নতুন বই আবার আমরা তৈরি করে দেব।

দীপু মনি বলেন, আগামী বছর নতুন বই দেব। ক্লাস সিক্সে একটা নতুন বানিয়ে দেব, ক্লাস সেভেনে একটা নতুন বানিয়ে দেব। সিক্সের একটা বই, সেভেনের একটা বই। ওই বিষয়ের দুইটা বই। একটা বই আপাতত পড়া বন্ধ থাকবে। ওটা পড়ার দরকার নাই।

সারাদেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে সরকার। তা শিক্ষার্থীদের হাতেও পৌঁছেও গেছে নতুন বছরের শুরুতে।

নতুন বই হাতে পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন ভুল ও পরিবর্তন নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে নানা পর্যায়ে। এসব নিছকই ভুল, না উদ্দেশ্যমূলক, সে প্রশ্নও উঠেছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য ছাপানো পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনে এবং কেন ভুল হলো তা তদন্তে দুই কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক- ২ শাখা থেকে প্রকাশিত আলাদা অফিস আদেশে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *