:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বেন এস বার্নানকে, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড ও ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিলিপ এইচ ডিবভিগ।
সোমবার রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স অর্থনীতিতে এ বছরের নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল প্রাইজ ডট অর্গের ওয়েবসাইটে তাঁদের পুরস্কারপ্রাপ্তির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং বিষয়ক আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, সংকটের সময় ব্যাংকব্যবস্থা কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে হয়। আবার ব্যাংক ধসে পড়লে কীভাবে আর্থিক সংকট ঘনীভূত হয়, তা–ও দেখা গেছে গবেষণায়। আর ১৯৮০-এর দশকে এসব গবেষণার সূত্রপাত করেন এই তিন অর্থনীতিবিদ—বেন এস বার্নানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড ও ফিলিপ এইচ ডিবভিগ।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশে সময় সোমবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি এই ঘোষণা দেয়। নোবেল কমিটির প্রধান থমাস পার্লম্যান টেলিফোনে এবারের নোবেল বিজয়ীদের এই সুখবর জানান। এই ঘোষণার আগে রসায়নে নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই সব নথিপত্র অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে রেখে তা জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়।
২০২১ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইদো ডব্লিউ ইমবেন্স। শ্রম অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ডেভিড কার্ড ও কারণগত সম্পর্ক বিশ্লেষণে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য বাকি দুই অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
আধুনিক কালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ছিল ১৯৩০-এর দশকের সংকট। বেন বার্নানক সেই সংকট নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, বিপুলসংখ্যক আমানতকারী একসঙ্গে ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার (ব্যাংক রান) কারণে ১৯৩০-এর দশকে অর্থনৈতিক সংকট গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। এরপর ব্যাংক ধসে পড়লে ঋণগ্রহীতাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি হারিয়ে যায় এবং শিগগিরই তা পুনরুদ্ধারও করা যায়নি। ফলে সঞ্চয়কে উৎপাদনশীল বিনিয়োগে রূপান্তরের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস কমিটির চেয়ারম্যান টোরে ইলিংসেন বলেছেন, ‘এই তিন অর্থনীতিবিদ আমাদের গুরুতর সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি ব্যয়বহুল বেইলআউট এড়ানোর পথ বাতলে দিয়েছেন।’