‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিদায় দেখতে চায়’

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করেছে। নষ্ট করে দিয়েছে সব স্বপ্ন। যেদিকে তাকাবেন খালি চুরি আর চুরি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিদায় দেখতে চায়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এ সরকার রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছে। আগামী তিন মাসের আমদানি-রপ্তানির জন্য ডলার নেই। এতো রিজার্ভ কোথায় গেলো?

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ মানুষের কোনো আয় নেই। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আয় আছে। চাঁদাবাজি, দলীয়করণ করে তারা আয় করছেন। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে তারা শূন্য করে ফেলছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে দুবার নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালে কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তো আগের রাতে ভোট শেষ হয়ে গেছে।

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার বিদায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ‘ভুলে যান, ওই নৌকার কথা ভুলে যান’ এ গান গাইতে শুরু করেছে। সুতরাং সময় থাকতে কেটে পড়ুন। তা না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অগ্নিসন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আসছে আওয়ামী লীগ, তার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস করেছেন আপনারা। ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দেওয়া হয়।’ গুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লাকসামের বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হীরু, হুমায়ুন কবির পারভেজের সন্তানেরা তাদের বাবাকে ৯ বছর ধরে খুঁজছে। বাচ্চাগুলোকে এতিম করেছেন। আওয়ামী লীগের চুরির কথা বলতে গেলে রাত পার হয়ে যাবে।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদের সভাপতিত্বে এই গণসমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন ও সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও দলের পাঁচ নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে এ গণসমাবেশ করছে। এর আগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ হয়। পরে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে সমাবেশ হয়। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *