বাংলাদেশের কিংবদন্তী জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী

:: কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক, পিএসসি (অব.) ::

আজ পহেলা সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিংবদন্তী কালজয়ী সিপাহসালার মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহানায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৫তম জন্ম বার্ষিকী। কিন্তু আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি প্রায় ভুলতে বসেছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এ মহানায়ককে। এ কারনেই হয়তো ― রুডিয়ার্ড কিপলিং লিখেছিলেন,

“God and soldier all men adore,

In times of danger and not before.

When danger is over and things are righted,

God is forgotten and poor soldier is slighted.

জেনারেল ওসমানীর ৬৬ বছরের (১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮-১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪) জীবনটি ছিল এক মহাসাগরের মতো। যার উপর দিনের পর দিন আলোচনা বা লেখালেখি করলেও শেষ করা যাবে না।

১৯৭১ সালের ৪ঠা এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহকারী বাঙালি সামরিক অফিসারগণ একত্রিত হয়ে সর্বজ্যেষ্ঠ সেনা অফিসার কর্নেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করার দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বা কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে নিয়োগ করার প্রস্তাব গৃহিত হয় ও অস্থায়ী সরকার গঠন পূর্বক তা বাস্তবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। ১০ই এপ্রিল সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হলে ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্ত এলাকায় মুজিব নগরে শপথ গ্রহণ করে। ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, মুক্তিবাহিনীর সকল কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ও সমন্বিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য সার্বিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয় কর্নেল (অব.) এম এ জি ওসমানীর উপর এবং ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদাসহ বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সি-ইন-সি) নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এ সামরিক নেতা ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ এবং সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। ওসমানী অবিলম্বে মুক্তিবাহিনীর সকল উপাদানকে এক কমান্ডে আনার সিদ্ধান্ত নেন; এবং অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব, চেতনা, দক্ষতা এবং সংকল্পের সাথে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে। ওসমানী কার্যত বাংলাদেশের ডি গল হয়েছিলেন এবং অত্যন্ত বিশ্বাসের সাথে তার কাজটি শুরু ও সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছিলেন।

২। সামরিক বাহিনীতে অনেকেই জেনারেল হন বা করা হয় বটে, কিন্তু মিলিটারি লিডার হতে পারেন না। যাদের মধ্যে অনেকেই কেবল শোভাবর্ধণ বা নিজস্ব স্বার্থ হাসিল ছাড়া দেশ-জাতি তো দূরের কথা নিজস্ব বাহিনীরও কোনো কাজে আসেন না। নিজস্ব বাহিনীর জেনারেলগণ যদি সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ বাহিনীর জেনারেলের তুলনায় বাস্তববাদী জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন দেশপ্রেমিক, প্র্যাগম্যাটিক, প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী, কৌশলী, তেজস্বী, যুদ্ধ ও সৈন্য পরিচালনায় সুদক্ষ সমরবিদ, শত্রুর ষড়যন্ত্র সম্পের্কে সচেতন এবং সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তা ও সর্বময় ক্ষমতার মালিক আল্লাহ্ সুবাহানু ওয়া তায়ালার প্রতি প্রচন্ড আস্থাশীল না হন, তাহলে সে সকল জেনারেলগণ শুধু সামরিক বাহিনীর শোভা বর্ধনের কাজেই আসবেন। ক্রান্তিলগ্নে বা আপতকালীন সময়ে তাদের দিয়ে দেশের কোন উপকার হবে না এবং দেশের স্বাধীনতা- স্বার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের উপর নির্ভরও করা যাবে না। কেননা, যে কোন দেশের সামরিক বাহিনীতে জেনারেলগণই নীতি প্রণয়ণ, প্রয়োগ ও যুদ্ধ পরিচালনা করে থাকেন। এমন সফল জেনারেল যুগে যুগে, দেশে দেশে ও বিভিন্ন জাতিতে অনেক ছিলেন বলেই সে সকল দেশ ও জাতি বিশ্ব মাঝে মাথা উঁচু করে টিকে আছে। যেমন- খালিদ-বিন-ওয়ালিদ, মুহাম্মদ বিন কাশেম, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, মির্জা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বৈরাম খাঁ, মানসিংহ, জেনারেল আইসেন হাওয়ার, ফিল্ড মার্শাল আরভিন রোমেল, জেনারেল হ্যান্স গুদেরিয়ান, জেনারেল দ্য গল, ফিল্ড মার্শাল উইলিয়াম যোসেফ স্লীম, ইরানী জেনারেল কাশেম সুলায়মানী প্রমুখ। আমরাও গর্ব করে বলতে পারি যে, আমাদেরও এমন একজন জেনারেল আছেন যিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুদ্ধাতিহাসকে আলোকিত করেছেন এবং নিজ দেশকে পরাধীনতার গ্লানি হতে মুক্ত করে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন, তিনি হলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।

৩। একটি পরাধীন দেশকে স্বাধীন দেশে পরিনত করতে হলে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও জাগরিত করার জন্য উঁচুমানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনি ভাবে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীকে পরাজিত করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় সামরিক বাহিনী ও এর নেতৃত্ব প্রদানের জন্য অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও দূর্ধর্ষ সামরিক নেতার। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও জাগরিত করার জন্য আমাদের ছিলেন কিংবদন্তির মহানায়ক, অসাধারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতা সিংহপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; আর সামরিক নেতৃত্বের জন্য ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কিংবদন্তি ক্ষণজন্মা পুরুষ জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী, যিনি তাঁর অসাধারণ মেধা, যোগ্যতা, নিঁখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শীতা, বাস্তবসম্মত কার্যকরী সমরকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে তুলনামূলক ভাবে বহুগুণে অতি শক্তিশালী শত্রুবাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলাফলকে অনুকুলে নিয়ে আসেন, যা কল্পনাকেও হার মানায়।

৪। স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বা কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে নিয়োগ: ১৯৭১ সালের ৪ঠা এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহকারী বাঙালি সামরিক অফিসারগণ একত্রিত হয়ে সর্বজ্যেষ্ঠ সেনা অফিসার কর্নেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করার দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বা কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে নিয়োগ করার প্রস্তাব গৃহিত হয় ও অস্থায়ী সরকার গঠন পূর্বক তা বাস্তবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। ১০ই এপ্রিল সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হলে ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্ত এলাকায় মুজিব নগরে শপথ গ্রহণ করে। ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, মুক্তিবাহিনীর সকল কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ও সমন্বিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য সার্বিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয় কর্নেল (অব.) এম এ জি ওসমানীর উপর এবং ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদাসহ বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সি-ইন-সি) নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এ সামরিক নেতা ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ এবং সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। ওসমানী অবিলম্বে মুক্তিবাহিনীর সকল উপাদানকে এক কমান্ডে আনার সিদ্ধান্ত নেন; এবং অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব, চেতনা, দক্ষতা এবং সংকল্পের সাথে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে। ওসমানী কার্যত বাংলাদেশের ডি গল হয়েছিলেন এবং অত্যন্ত বিশ্বাসের সাথে তার কাজটি শুরু ও সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছিলেন।

৫। আধ্যাত্মিক বিষয়: তিনি ছিলেন Born Military Leader; যাকে আল্লাহ্ তৈরিই করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। ১৩০৩ সালে শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যের অত্যাচারী রাজা গৌড়-গোবিন্দ বুরহান উদ্দীন নামক জনৈক প্রজার ছেলের জন্মৎসব উপলক্ষে গরু জবাই করার কারণে তার শিশু ছেলেকে হত্যা করে। যার ফলে হযরত শাহজালাল যেমন সিলেটের মানুষকে অত্যাচারির হাত হতে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন, একই ভাবে তাঁরই ৩৬০ সঙ্গীর অন্যতম একজন আউলিয়া সিলেটের দয়ামীরের হযরত শাহ্ নিজাম উদ্দিন ওসমানী (রহঃ) এর বংশধর জেনারেল ওসমানী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়ণের হাত হতে দেশবাসীকে মুক্ত করার যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

৬। বিশ্বের ইতিহাসে বিরল সম্মান, গৌরব ও ঐতিহ্যের অধিকারী ব্যক্তিত্ব: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, প্রথম সেনাপ্রধান, প্রথম জেনারেল, বিশ্বের চার-চারটি বড় যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ও তিনটি দেশের সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, অবসরকালীন সময়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনীর নেতৃত্ব প্রদানকারী। তিনিই একমাত্র সামরিক অফিসার যিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী হতে ১৯৬৭ সালে অবসর গ্রহণ করার ৪ বছর ১ মাস ২৪ দিন পর পুনরায় সামরিক পোষাক পরিধান করে বাংলাদেশ সশস্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তাঁর দুঃসাহসী ও অনবদ্ধ নেতৃত্বে বিশাল শক্তিশালী হানাদার বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর হতে তাঁকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সম্মানীত করেন। একটি অসমযুদ্ধে দেশ ও পৃথিবীর ইতিহাসে সমৃদ্ধশালী ও অত্যাধিক সম্মানজনক বিরল এ অবস্থানের অধিকারী হলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।

৭। সামরিক পোষাক ছাড়ার প্রায় চার বছর পর জেনারেল ওসমানী মাতৃভূমির এ চরম সংকটময় মুহুর্তে পুনরায় তা পরিধান করে বাংলাদেশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। যা বিশ্বে এক বিরল উদাহরণ। একবার চিন্তা করে দেখুন তো, সে সময়ে যদি ওসমানীর মতো কালজয়ী তীক্ষ্ণ মেধাবী, প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, দক্ষ, বিচক্ষণ, তিনটি যুদ্ধের বিরল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, চতুর্মূখী গুণাবলীর অধিকারী সর্বজনগ্রাহ্য সিনিয়র সামরিক নেতা দৃশ্যপটে না আসতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এ যুদ্ধের কি শোচনীয় অবস্থাই না হতো! জেনারেল ওসমানী তাঁর বলিষ্ঠ, সুদক্ষ নেতৃত্বে ও যুদ্ধ কৌশল প্রয়োগ করে মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করে দিকনির্দেশনা, অনুপ্রেরণা ও পরিচালনার মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করে বহু প্রত্যাশিত নতুন একটি দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় রেখেছেন অনন্য অবদান।

৮। ইতিহাস সৃষ্টিকারী দুরদর্শী চিন্তা-চেতনার অধিকারী অসাধারণ প্রতিভাবান কালজয়ী পুরুষ ওসমানীদের বার বার জন্ম হয় না। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ধুমকেতুর মতো এঁদের আবির্ভাব হয়। জাতির মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে তারা এ বীরপুরুষকে সম্মান করে। আর তা না হলে কালচক্রে এঁরা হারিয়ে যায়। চিরকুমার জেনারেল ওসমানী তাঁর সারাটা জীবন কাটিয়েছেন এদেশের মাটি ও মানুষের মুক্তির জন্য, উন্নতির জন্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। উৎসর্গ করেছেন তাঁর জীবন-যৌবন, সহায়-সম্পত্তি ও সকল কিছু। অবহেলিত বাঙালি মুসলমানদের ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশের জন্য তিনি সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন এবং এর সফলতাও অর্জন করেছেন ইস্টবেংগল রেজিমেন্ট প্রতিষ্টা করার পথকে উন্মুক্ত করে এবং ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রয়ারি প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর একে একে এ রেজিমেন্ট সমৃদ্ধ হতে থাকে, যা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিয়ামকের ভুমিকা পালন করে। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তিনি কখনো পিছু হটেননি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ, অস্ত্রমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে যতদিন টিকে থাকবে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী বেঁচে থাকবেন, স্মরনীয়, বরনীয় ও অনুকরনীয় হয়ে এদেশের মাটি ও মানুষের মনের মণিকোঠায় মুক্তির সুউজ্জল আলোকবর্তিকা হিসেবে।

লেখক: সামরিক ইতিহাসবিদ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

৩১.৮.২০২৩

hoque2515@gmail.com

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *