আফগানদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের টানা চার জয়

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

আফগানিস্তানকে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানদের তারা ৩৪.৪ ওভারে ১৩৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। 

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে তিন ফিফটিতে আফগানদের ২৮৯ রানের বড় লক্ষ্যই ছুড়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। 

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনার-লকি ফার্গুসনদের ঘূর্ণি ও পেস বোলিংয়ে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে ১৪৯ রানের দাপুটে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ৪ ম্যাচে খেলে সবকয়টি জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে কিউইরা। সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছেন টম লাথামরা। 

২৮৯ রানের লক্ষ্য পৌঁছাতে শুরু থেকেই তারা বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি আফগানরা। ১০৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। শেষ ৩২ রানে হারায় বাকি ৫ উইকেটও। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন রহমত শাহ। ২৭ রান আসে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে। ৩৪.৪ ওভারেই থেমে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। কিউই বোলারদের মধ্যে স্যান্টনার ও ফার্গুসন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন, ২ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। 

এর আগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে গত দুই বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান।

দ্বিতীয় ওভারে ইয়ংয়ের ক্যাচ ছাড়েন স্লিপ ফিল্ডার রহমত শাহ। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ছন্দে থাকা ডেভন কনওয়েকে সপ্তম ওভারে ফিরিয়ে তাদের প্রথম সাফল্য এনে দেন মুজিব। এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলটি।

মুজিবের পরের ওভারে শূন্য রানে থাকা রাচিনের ক্যাচ ছাড়েন শাহিদি। সেই রাচিন পরে করেন ৩২ রান। উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে রাখেন কক্ষপথে। একই ওভারে রাচিন ও ৫৪ রান করা ইয়ংকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ওমরজাই। পরের ওভারে রশিদের শিকার ড্যারিল মিচেল। ১ উইকেটে ১০৯ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১০। ১ রান করতে ৩ উইকেট হারায় তারা।

সেই ধাক্কা সামাল দেয় কিউইরা টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানেন তারা। গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। দুইজনেই করেন ফিফটি। অথচ তাদের যুগল আরও আগেই ভাঙার সুযোগ পায় আফগানিস্তান। রশিদের পরপর দুই ওভারে ৩৬ ও ৪০ রানে জীবন পান ল্যাথাম। প্রথমবার ক্যাচ ছাড়েন মুজিব, পরেরবার ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি শাহিদি। ল্যাথাম শেষ পর্যন্ত করেন ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৮ রান।

চারটি করে ছক্কা-চারে ৭১ রান করে ফিলিপসকে থামান নাভিন উল হক। শেষ দিকে ১২ বলে ২৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন মার্ক চাপম্যান। শেষের ১০ ওভারে ঝড় তোলে কিউইরা। এই সময়ে তারা তোলে ১০৩ রান।

কিউইদের এই স্কোরের পেছনে বড় অবদান আফগানদের বাজে ফিল্ডিংংয়েরও। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে তারা। স্লগ ওভারে বাউন্ডারিতে ফিলিপসের ক্যাচ ছাড়েন রশিদ খানও। আফগান বোলারদের মধ্যে ওমরজাই ও ফজলহক ফারুকি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

নিউজিল্যান্ড একাদশ
ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন এবং ট্রেন্ট বোল্ট। 

আফগানিস্তান একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), ইকরাম আলিখিল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি এবং নাভিন উল হক।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *