ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথমবার সিরিজ খেলতে নেমে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৯-য়ে থাকা বাংলাদেশের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও প্রতি মুহূর্তেই বদলেছে ম্যাচের রঙ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পথ হারায়নি। নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৬ রানে ভর করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। যেকোনো ফরমেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

মিরপুরে সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ওই বোলিং তেজ ছিল মিরপুরেও। শামীম পাটোয়ারীর বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ জানান দেন তিনিও জ্বলে উঠতে পারেন। তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মিরাজ ১২ রানে নেন ৪ উইকেট।

ইংলিশদের হয়ে ২৮ রান করেন বেন ডাকেট। ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাটে আসে ২৫ রান। তারা ছাড়া বাকিরা কেউ করতে পারেনি বড় সংগ্রহ।

১১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দুজনের ব্যাটেই আসে ৯ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ২৯ রান করে তোলেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। হৃদয় ১৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

বল হাতে দারুণ করা মেহেদি মিরাজ ব্যাট হাতেও ছিলেন দারুণ। তার ব্যাটে আসে ১৬ বলে ২০ রান। তার ইনিংসে বাংলাদেশের জয় আরও সহজ হয়ে ওঠে। তবে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে শান্তর সঙ্গে ৩২ বলে তোলেন ৪১ রান।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতলেও রবিবার তার ব্যাটে কিছুই আসেনি। ৩ বলে ০ রান করে ফেরেন তিনি। ম্যাচ জেতানো শান্তর ব্যাটে আসে ৪৬ রান। মূলত তার ব্যাটিংয়েই ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। শুধু ম্যাচ জয় নয়, জিতেছে সিরিজও।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চকর জয়ের দিনে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, এই জয়ে আমরা খুশি, সবাই খুশি।

গত বছর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর আর টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি মিরাজের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশে না থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরানো হয় তাকে। ফিরেই বল হাতে ৪ ওভারে ১২ রানে নেন চার উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। চার উইকেটের জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে মিরাজ করেন ২০ রান।

টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে খুশি মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর ভরসা করেছে, আমাকে এ ম্যাচে খেলিয়েছে। তারা মনে করেছে, আমি এ ম্যাচে খেললে দলকে কিছু একটা দিতে পারব; বিশেষ করে এই উইকেটে। তারা যে আমাকে বিশ্বাস করেছে, সেটার প্রতিদান দিতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *