ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৪৪

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। দেশটির মূল দ্বীপ জাভায় সোমবার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে।

সিয়ানজুর প্রশাসনের প্রধান হেরমান সুহেরমান মেট্রো টিভিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু এই হাসপাতাল থেকে আমি যে তথ্য পেয়েছি, প্রায় ২০ জন মারা গেছেন। কমপক্ষে ৩০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের অধিকাংশই ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে শরীরে আঘাত পেয়েছেন।’

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সিয়ানজুর প্রশাসনের মুখপাত্র অ্যাডাম বলেন, এখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। শত শত, হয়তো কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে হারমান সুহেরম্যান নামে স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা নিউজ চ্যানেল মেট্রো টিভিকে বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ২০ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন। তবে এটি মাত্র একটি হাসপাতালের তথ্য। সিয়ানজুরে চারটি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তবে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।

তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন।

গত আগস্টের শেষের দিকে মাত্র দুদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপে দ্বীপটি। গত ২৯ আগস্ট সুমাত্রায় আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সেখানে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রা ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প।

গত ২২ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসার এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এর পরেরদিন সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প।

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *