ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে বিক্ষোভ

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন মসজিদ থেকে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

ইসরায়েলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা বন্ধ না করলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইমাম ও খতিবদের জাতীয় সংগঠন ইমাম সমাজ বাংলাদেশ। অবিলম্বে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বন্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। 

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাদ জুমা রাজধানীর চকবাজার শাহি মসজিদ চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি চকবাজার শাহি মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে শেষ হয়।

সংগঠনের মহাসচিব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অনতিবিলম্বে ইসরায়েল ও মিত্র বাহিনী কর্তৃক গাজার নিরপরাধ মানুষের গণহত্যা বন্ধ না হলে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন পৃথিবীর মানচিত্রে ইসরায়েলের নিশান খুঁজে পাওয়া যাবে না।

ইমাম সমিতির মহাসচিব বলেন, ইসলাম ও মুসলমানের চরম শত্রু মার্কিন বাহিনী অভিশপ্ত ইসরায়েলিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমান মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মুফতি শামসুল হক ওসমানী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা সোহেল আহমদ, সুলাইমান সাদি প্রমুখ।

এদিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এদিন জাতীয় মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মোনাজাতেরও ব্যবস্থা করা হয়।

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

‘সম্মিলিত ইসলামী দলের’ ব্যানারে আয়োজিত মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকির সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন, মাজলিসে সাদরাতের সদস্য মিরসরাইয়ের পীর শাহ আব্দুল মমিন নাছেরি, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ক মুফতি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, মুসলিম জনতা ঐক্য পরিষদের আমির মাওলানা আজীজুর রহমান আজীজ, মজলিসুল মুফাসসিরিনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জী হুজুর, ছারছীনার পীর আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জনসেবা আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ইয়ামিন, খেলাফতে রব্বানির মহাসচিব মাওলানা লুৎফর রহমান, আহকামে হেফাজতের সদস্যসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর মাতুব্বর, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান, জাতীয় খতিব পরিষদের আমির মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী, কওমি মুভমেন্টের মহাসচিব মাওলানা হাফেজ শফিকুল ইসলাম হাফেজী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মান্নান, ইসলামী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি সানাউল্লাহ রহমানী, মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা আবুল কাশেম গাজী, মুহাদ্দিস মাওলানা মাহফুজুর রহমান পাঠান, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মাদানী, মুহাদ্দিস ডক্টর জাকির হোসাইন আজহারী, মুফতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে গতকাল বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সমাবেশ ও পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। আর ইসরায়েলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরায়েলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইসরাইলের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

আসরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ মিছিল ও সমাবেশ করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, দশকের পর দশক ধরে মানবতাবিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অহঙ্কারকে গুঁড়িয়ে দিয়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিতে নতুনভাবে যে মিশন শুরু করেছে আমরা তার সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। তিনি ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদেরকে দ্রুত এক কাতারে আসার আহবান জানান।

যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা ফেরদাউস মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা চৌধুরী নাসির আহমদের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসিরুদ্দীন খান। উপস্থিত ছিলেন অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী, যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি বশীরুল হাসান খাদিমানী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, যুব জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-বাকী প্রমুখ।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মার্কিন মদদপুষ্ট জায়নবাদী ইসরায়েলি হামলা ও ওই এলাকা জনমানবশূন্য করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) গতকাল ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ। সভা পরিচালনা করেন সিপিবির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনাসহ জনগণের ওপরে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে প্যালেস্টাইন গর্জে উঠেছে। এটা তাদের ন্যায্য সঙ্গত সংগ্রাম। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, ইসরায়েলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্টি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

সন্ত্রাসী দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দাবি করা ভারতের নোংরা চরিত্র বিশ্বের কাছে জঘন্যভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ভারত এখন থেকে নিজেকে আর ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে দাবি করার অধিকার রাখে না। হিন্দুত্ববাদের দোসর মুসলিমবিদ্বেষী সন্ত্রাসী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ভারত-ইঙ্গ-মার্কিন জায়ানবাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিম নিধনের যে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতৃদ্বয় বিশ্ব মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এবং ভারতের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন আছে বলেও মন্তব্য করেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলির হতাহতের ঘটনা, ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের আকাশ-ভূমি-নৌ তিন দিক দিয়ে নির্বিচার বোমা হামলা চালানো এবং ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় খাদ্য, ওষুধ, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ২৫ লাখ শরণার্থী ফিলিস্তিনিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মানতে ইসরায়েলকে বাধ্য করার জন্য জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

স্বাধীন ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা এবং ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে সামরিক হামলা ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এ বর্বরোচিত হামলা জায়নবাদী আগ্রাসনের ভয়াবহ নজির। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ভিত্তিতে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লিগসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ অভিমত প্রকাশ করেছে যে, দখলদার ইসরাইল বিশ্বশান্তির অন্তরায়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসী হামলা বিশ্বমুসলিম উম্মাহসহ শান্তিকামী মানুষের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের দেশে দেশে শান্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। গতকাল এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এ কথা বলেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ন্যক্কারজনক বিমান হামলা চালিয়ে শত শত বনি আদমকে হত্যা করেছে। আহত করেছে অসংখ্য মানুষকে। এ হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মানুষের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।

ফিলিস্তিনের গাজায় অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও নিরীহ মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে দ্বীন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হানাদার ইসরায়েলি বাহিনী বিগত ৭৭ বছর ধরে ফিলিস্তিন ও মসজিদুল আকসা জবরদখল করে রেখেছে। এ ছাড়াও দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে যা অত্যন্ত জঘন্যতম। এখন সময় এসেছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এক হয়ে তাদের অত্যাচার ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলে হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৫২৫ জন শিশু এবং এক হাজারের বেশি নারী। অন্যদিকে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *