ঈদের স্মৃতি

:: শারমিন সোহেলী ::

ছোট থেকেই দেখে আসছি, আমাদের বাসায় ঈদের দিনে মা মুরগি দিয়ে কোরমা করতেন। আর কিছু হোক না হোক আমার মধ্যবিত্ত বাবা সন্তানদেরকে প্রতিটি ঈদে পোলাও কোরমা খাইয়ে বড় করতে পেরেছিলেন। একসাথে সবাই ফ্লোরে গোল হয়ে বসে ঈদের দুপুরের খাওয়া হতো।

ছোটবেলার সেই মেমোরি সম্ভবত আমার সাবকনশাসে একটা অনুভূতি তৈরি করে রেখেছে! এখন বড় বেলায় এসে ঈদে, টেবিল ভর্তি খাবার সহ আস্ত মুরগীর রোস্ট সামনে রাখলেও মনটা উশখুশ করতে থাকে… কোরমা কই কোরমা কই….।

তাই দাওয়াতে দাওয়াতে এইবার ঈদের গল্প না হোক। শৈশব নামক কাঁচের গ্লাসটা হাত থেকে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছিটকে গেছে, তো কি হয়েছে? এবার আমি সেই ভাঙ্গা টুকরো গুলো খুঁজে খুঁজে জায়গা মতো লাগানোর চেষ্টা চালাবো ঠিক করেছি!

তাই দাওয়াতে দাওয়াতে এইবার ঈদের গল্প না হোক। শৈশব নামক কাঁচের গ্লাসটা হাত থেকে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছিটকে গেছে, তো কি হয়েছে? এবার আমি সেই ভাঙ্গা টুকরো গুলো খুঁজে খুঁজে জায়গা মতো লাগানোর চেষ্টা চালাবো ঠিক করেছি!

চকচকে নতুন টাকার সালামি পেয়েই সবাই মিলে ছয় টাকা খরচ করে এক বোতল কোকাকোলা, আর সাত টাকার চকবার কেনার সেই সুখানুভূতিতে ফেরত যাব। ঈদ নামাজ শেষে এবার আমরা ভাইবোন বাবার শিখিয়ে দেয়া সেই অভ্যাস মতো ফ্লোরে ল্যাটকায়ে বসে কোরমা পোলাও পায়েস খাব। ইনশাআল্লাহ।

তারপর খুব পছন্দের হাসান রাজার একটা গান, সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো – ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে এলেবেলেভাবে হাত পা ছুঁড়ে নাচবো।

যে অভ্যাসগুলোর সূচনা শৈশবে, কৈশোরে এসে যা একঘেয়ে লাগেনি, যৌবনে বা বৃদ্ধ বয়সে সেই অভ্যাস গুলো যেন পবিত্রতা না হারায়! কাছে দূরের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *