এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ১১ কোটি ডলার

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ১১ কোটি ডলার। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২১ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুসরণ করলে গত বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৯৬ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১১ অক্টোবর ছিল দুই হাজার ১০৭ কোটি ডলার।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি বা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত বছরের ১৮ অক্টোবর সেই রিজার্ভ কমে হয় ৩ হাজার ৬১১ কোটি ডলার। গত বুধবার তা ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ডলারে নেমেছে। যদিও আইএমএফ হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার বলে মনে করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে, অন্য কোনো খরচ নয়। সাধারণত একটি দেশের কাছে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভ। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৬৮০ ডলারে থাকতে হবে। বাংলাদেশ অবশ্য আইএমএফকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ রাখতে যাবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ শর্ত শিথিল করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ রাখতে হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি এবং আগামী জুনের মধ্যে তা ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে।

এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেই হিসাব প্রকাশ করা হয় না। আইএমএফ সূত্রে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে, অন্য কোনো খরচ নয়। সাধারণত একটি দেশের কাছে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভ।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *