কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণে ইমামসহ নিহত ২১

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরাঞ্চলের খায়ের খান্না মহল্লার সিদ্দিকিয়া মসজিদ এশার নোমাজের সময় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২১  জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।  নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলি রয়েছেন।

এক তালেবান নেতা জানিয়েছেন, কাবুলের খাইরখানা এলাকায় মসজিদে নামাজের সময় এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।তবে, এখন পর্যন্ত এর দায় কেউ স্বীকার করেনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা ছিল যে আশেপাশে বাড়ির জানালা কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছায় এবং আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কাবুলে ইতালির এনজিও ‘ইমার্জেন্সি’ পরিচালিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আহত ২৭ জন সেখানে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ৩ জন মারা যান। আহতদের মধ্যে ৫ শিশুও রয়েছে।

ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর দায় কেউ স্বীকার করেনি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানাননি।

টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, দোষীদের শিগগিরই শাস্তির আওতায় আনা হবে। এখনো এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। কাবুলে গত সপ্তাহেই আইএসের হামলায় নিহত হন তালেবান নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিস্ফোরণে ৩৫ জন আহত অথবা নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তালেবানরা আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানালেও দেশটিতে সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, বেশ কিছু হামলার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)।

গত সপ্তাহে প্রভাবশালী তালেবান নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি কাবুলে বোমা হামলায় নিহত হন। সশস্ত্র সংগঠন আইএস এর দায় স্বীকার করে।

গত জুনে কাবুলে শিখ মন্দিরে হামলার দায়ও নেয় আইএসকেপি। সেই হামলায় ২ জন নিহত হন।

২০২১ সালের ১৫ আগস্টে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে বিনা রক্তপাতেই দেশের দখল নেয় তালেবান। তাদের শাসনামলের এক বছর পর এখনো কোনো দেশ তাদেরকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *