১১১ দিন পর কারামুক্ত মির্জা আব্বাস

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

১১১ দিন কারাভোগের পর কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত হন তিনি।

তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জামিনে মুক্তির বিষয়টি নাগরিক নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১১ মামলার সবগুলোতে জামিন পাওয়ায় কারামুক্ত হন তিনি। 

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেলওয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান পুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান তিনি।

রোববার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অর্জনে দুদকের করা পৃথক দুটি মামলায় জামিন পান তিনি।

শাহজাহানপুর থানার নাশকতার মামলায় ৩১ অক্টোবর শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে কারাগারে আটক আছেন মির্জা আব্বাস।

২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ছয়টি, রমনা থানায় চারটি এবং ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয় বলে আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান।

গত ২১ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন। এর আগে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় মির্জা আব্বাস জামিন পান।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *