:: সিলেট প্রতিনিধি ::
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেফতারের তিন ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুক্তাদিরের আইনজীবীরা জামিনের কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যে মামলায় মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাতে তিনি জামিনে রয়েছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসলে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, গ্রেফতারের পর খন্দকার মুক্তাদিরকে থানা হাজতে রাখা হয়। সন্ধায় তার আইনজীবী জামিনের রি-কল কপি নিয়ে আসলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে সিলেট যাবার সময় মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিকালে অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় বিএনপি নেতা মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য মুক্তাদির সিলেটে আসছিলেন। পুলিশি বাধার মুখে নগরীর তিনটি পয়েন্টে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি।
পুলিশ বলছে, বিএনপিকে উন্মুক্ত স্থানের বদলে কোনো কমিউনিটি সেন্টার বা ইনডোরে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত নির্বাচনে সিলেট-১ (সদর-নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বিরুদ্ধে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুক্তাদির।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বাবা খন্দকার আব্দুল মালিক সিলেট বিএনপি প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিলেট-১ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।