অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে ১১৮ দুর্ঘটনা

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

অক্টোবরে ৩ হাজার ৬৬০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫০৭ জন। আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭৫। প্রতিদিন গড়ে ঘটেছে ১১টি দুর্ঘটনা। যার মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৬; আহত ১২১।

আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনা মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী ও গবেষণা সংগঠন সেভ দ্য রোড’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, সেভ দ্য রোড ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১৫ বছর ধরে বাইকলেন, পাঁচ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ, সিসিক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়ে আসছে। আর তা বাস্তবায়ন না করার কারণেই অক্টোবর মাসে গড়ে প্রতিদিন ১১৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২১ জন, নিহত হয়েছেন ১৬ জন।

এছাড়া, ৭৬৩টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫৯১ জন এবং নিহত হয়েছেন ৬০ জন। অন্যদিকে, ১০০৯টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০৪৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৯৭ জন। এর বাইরে, ৮৯১ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত ৯৮৮ জন ও ৮০ জন নিহত হয়েছেন। ব্যাটারি চালিত যান, পিকআপ, সিএনজিসহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র ধরণের বাহনে ৯৯৭ টি দুর্ঘটনায় আহত ১১৭২ এবং নিহত হয়েছেন ৭০ জন। নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন আহত এবং ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, রেলপথ দুর্ঘটনারোধে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা; অরক্ষিত রেলক্রসিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৯৯টি দুর্ঘটনায় ১১১ জন আহত এবং ২৬ জন নিহত হয়েছেন। সেই সাথে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ৩০০ আকাশপথ যাত্রীকে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।     

২৭ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড’র স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে তৈরি করা প্রতিবেদনে সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, শওকত হোসেন উল্লেখ করেন- নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ১২৮ টি দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন আহত এবং ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে আরো উঠে আসে রেলপথ দুর্ঘটনারোধে কর্তৃপক্ষের উদানিতার কারণে কেবলমাত্র অরক্ষিত রেলক্রসিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৯৯ টি দুর্ঘটনায় ১ শত ১১ জন আহত এবং ২৬ জন নিহত হয়েছে। সেই সাথে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন ৩ শত আকাশপথ যাত্রীকে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।    

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *