ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সমাবেশ ১৫ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারিত হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের ৩ তারিখের পরিবর্তে ওই মাসের অন্য কোনো তারিখে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

সূত্র জানায়, আগামী ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিরবেন ৩ ডিসেম্বর। সে কারণে ৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ওই মাসের অন্য কোনো দিন সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

একই কারণে ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় যুব মহিলা লীগের সম্মেলনও পেছানো হয়।

গত ২৮ অক্টোবর বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সংগঠনগুলোর সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখের ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা।

ওই সভা শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ জানিয়েছিলেন, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৩ ডিসেম্বর। এছাড়া ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ ও ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান গোলাম রাব্বানী। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করা হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *