ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি গৃহশিক্ষক মো. সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার রাতে র‍্যাব হেডকোয়ার্টার্সের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সাইদুলকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গত সোমবার রাতে বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দিলে ওই ছাত্রীর মা ও তিন বোনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাবেয়ার মা বর্তমানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাইদুলের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার পরই সাইদুল পালিয়ে যান।

গত সোমবার রাতে গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কুপিয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রাবেয়ার মা ও তিন বোনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁর মাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় সাইদুলের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ। রাবেয়া ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ গতকাল বলেন, ‘সাইদুল আমাদের প্রাইভেট শিক্ষক ছিল। ছোট দুই মেয়েকে সে পবিত্র কোরআন পড়াত। সে আমার বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে আমরা সরাসরি না করে দিই। এ কারণেই সে বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইদুল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাবেয়াদের বাসায় ঢুকেই ধারালো অস্ত্র দিয় রাবেয়ার মাথা, গলা, হাত ও পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাঁর মা ও দুই বোন ঠেকানোর চেষ্টা করলে সাইদুল তাঁদেরও আঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে রাতেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *