জামিন পেলেন সম্রাট, কারামুক্তিতে বাধা নেই

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

অসুস্থ বিবেচনায় তাকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন আদালত। চার মামলার মধ্যে আগেই তিন মামলায় জামিন পাওয়ায় এখন তার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই।

সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত দুই শর্তে সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন।

শর্ত দুটি হলো- সম্রাটকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

এর আগে গত ১১ মে এ মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এদিন সব মামলায় জামিন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।

গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। গত ২৪ মে সম্রাট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১০ আগস্ট বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।

এর আগে তিন মামলায় জামিনে থাকায় সম্রাটের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

তিনি বলেন, দুটি শর্তসহ অসুস্থ বিবেচনায় সম্রাটকে জামিন দিয়েছেন আদালত। শর্ত দুটি হচ্ছে- পাসপোর্ট জমা দেওয়া এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। আগের তিন মামলায় জামিনে আছেন তিনি।

এবারও জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে গত ১১ মে একই আদালত তিন শর্তে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। পরে দুদকের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৪ মে সম্রাট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এর আগে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সহযোগীসহ সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *