জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে

:: সাইয়েদ আবদুল্লাহ ::

জিয়া হত্যাকাণ্ডের কেন বিচার করলো না বিএনপি? এই প্রশ্নটা বারবার করে ছুঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ। খুবই স্পেসিফিক্যালি ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়, জিয়ার ওপর সরাসরি গুলি চালায় কর্নেল মতিউর। তার সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে ছিলেন লে. কর্ণেল মাহবুব। তাছাড়া ওই টিমে যারা ছিল তাদের ভেতর খুবই উল্লেখযোগ্য ছিল মেজর খালেদ।

ওই সময় চট্টগ্রামের জিওসি ছিলেন মেজর জেনারেল মঞ্জুর। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ৩১ মে,১৯৮১ রাতে জেনারেল মঞ্জুরসহ কর্নেল মতিউর, মাহবুব ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালায়। পথিমধ্যে মতিউর ও মাহবুবের জিপ, জেনারেল মঞ্জুরের জিপ থেকে আলাদা হয়ে যায়। পথেই মতিউর এবং মাহবুব সেনাবাহিনীর কাছে ধরা পড়ে এবং তাদেরকে খুন করে ফেলে হয়।

মেজর জেনারেল মঞ্জুর পালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় পুলিশের কাছে পরদিন ১ জুন আত্মসমর্পণ করে। মঞ্জুর ও তার পরিবারকে পরে হাটহাজারী থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম শহরের জেলে পাঠিয়ে দেওয়ার মুহূর্তে সেনাবাহিনীর ওপর মহলের নির্দেশে এক ক্যাপ্টেন তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট সাত্তারের কাছ থেকে চট্টগ্রামের ডিসির কাছে নির্দেশ আসে মঞ্জুরকে যেন সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই নির্দেশ মূলত আসে সেনাপ্রধান এরশাদের ডিকটেশনে।হাত মুখ চোখ বেঁধে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয় মঞ্জুরকে।

এরপর ২ তারিখে তাকে ক্যান্টনমেন্টে গুলি করে খুন করা হয়। এরশাদ ব্যাপারটাকে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল যে উত্তেজিত উচ্ছৃঙ্খল সেনারা মঞ্জুরকে এলোপাথারি গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু পরবর্তীতে পোস্ট মোর্টেম করে দেখা যায় মঞ্জুরকে পেছন থেকে জাস্ট একটা গুলিই করা হয়েছিল মাথায়। উল্লেখ্য যে সেই গুলিটি করেছিল এক ব্রিগেডিয়ার, যাকে সেনাপ্রধান এরশাদ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়েছিলেন।

এরপর কোর্ট মার্শালে বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের বিচার শুরু হয়। ১৩ জনকে ফাঁসি ও বাকী ৫ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় অনেক অফিসারকে। উল্লেখ্য বিষয় যে কোর্ট মার্শালে বিচার করা হয়েছিল তাদের বিদ্রোহের জন্য। জিয়া হত্যার জন্য না।

জিয়া হত্যার আসামীদের ভেতর মেজর খালেদ ও মেজর মুজাফফর দুইজন পালিয়ে বিদেশে চলে যান। পরবর্তীতে বিদেশেই তাদের মৃত্যু হয় ১৯৯০ এর পরে। জিয়া হত্যাকাণ্ডের ওপর বেশকিছু বইপত্র ঘাটাঘাটি করে

একটা ব্যাপার স্পষ্ট মনে হয়েছে ওইসময়ে সেনাবাহিনীতে ছিল স্বার্থের সংঘাত। মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনী অফিসার ও পাকিস্তান-প্রত্যাগত অফিসারদের ভেতর মনকষাকষি ছিল।

জিয়ার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল এরশাদের মত ঝানু ব্যক্তিকে সহজ সরল মনে করা, উল্লেখ্য এরশাদও ছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত। জিয়া তাকে বসালেন সেনাপ্রধানের পদে। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে এরশাদ মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ঢাকার বাইরে দূরে দূরে বদলি করলেন, যা মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের পছন্দনীয় ছিল না। তাছাড়া এরশাদের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির নানা ব্যাপারেও সেসব মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের অপছন্দীয় ছিল। মেজর জেনারেল মঞ্জুর ছিলেন এরশাদবিরোধী এমন একজন অফিসার। মঞ্জুরকে বদলি করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে।

জিয়াকে হত্যা করার সাথে জেনারেল মঞ্জুরের সরাসরি কোন যোগাযোগ ছিলোনা, এমন ব্যাপার জেনারেল মইনুলের লেখা বই ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য : স্বাধীনতার প্রথম দশক,’ কর্নেল হামিদ এর ‘তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা’ বইয়েও তেমনটাই প্রমাণ মিলে। তবে জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর মঞ্জুরের কাজকর্ম ছিল সন্দেহজনক। মঞ্জুরের অধীনস্থ অফিসাররাই যেহেতু এই কাজ ঘটায়,পুরো ব্যাপারটা থেকে সে কিছুতেই দায় এড়াতে পারতো না,বিদ্রোহ হিসাবে সে ব্যাপারটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। চট্টগ্রাম রেডিওতে সে ভাষণ পর্যন্ত দেয় এবং সে চট্টগ্রামের সব অফিসারদের বিদ্রোহী ফ্রন্টে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করে। চট্টগ্রামে অবস্থানরত মিলিটারী একাডেমির তৎকালীন কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহকেও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে ডেকে এমন প্রস্তাব দেয় বলে হান্নান শাহের সাক্ষাৎকারে পাওয়া যায় পরবর্তীতে। কিন্তু হান্নান শাহ সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।

মঞ্জুর প্রথমে ধারণা করেছিলেন যে তিনি হয়ত অন্য অফিসারদের সমর্থন পাবেন এবং সেই অনুযায়ী ঢাকা হেডকোয়ার্টারে অবস্থানরত সেনাপ্রধান এরশাদকেও এই বিদ্রোহের মাধ্যমে ধরাশায়ী করতে পারবেন। ৩০ মে সারাদিন এমন অনুমানে কেটে গেলেও ৩১ মে-তে এরশাদের পদক্ষেপগুলোতে ধীরে ধীরে পিছু হটা শুরু করলেন মঞ্জুর। কারণ মঞ্জুর আশেপাশের অফিসারদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাপোর্ট পেয়েছিলেন না।

ওই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সবার বইপত্র পড়ে এতোটা অনুমান বলা যায় যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে জিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে এনে চাপের মুখে তাদের দাবিদাওয়া আদায় করার অভিপ্রায় ছিল তাদের। কিন্তু মেরে ফেলার কোন পূর্বপরিকল্পনা ছিল না।তাকে মেরে ফেলা হবে এমন পরিকল্পনা আক্রমণকারী অন্য কোন অফিসারই জানতো না। জিয়াকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তর্কসাপেক্ষে জেনারেল মঞ্জুর জানতো বলে অনুমান করা যায়,তবে অনেকের বয়ান আবার এমন ছিলো যে জেনারেল মঞ্জুর কিছুই জানতো না। কর্নেল মঞ্জুর গ্রেফতার করে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতেন না, এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন তৎকালীন চট্টগ্রামে থাকা অফিসার বীর প্রতিক মেজর জেনারেল(অবঃ) ইবরাহিম। জিয়ার শরীরে ব্রাসফায়ার করেছিল কর্নেল মতিউর।  এই কর্নেল মতিউরের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল সরাসরি সেনাপ্রধান এরশাদের। জিয়া হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েকদিন আগে মতিউর ঢাকা গিয়ে সেনাপ্রধানের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে আসে। তাছাড়া কর্নেল হামিদের বই থেকে জানা যায় জিয়ার মৃত্যুর মাত্র ৪ দিন আগে চট্টগ্রামের একটি মেসে এরশাদের সাথে কর্নেল মতিউরের দুইঘণ্টা অন্তরঙ্গ আলাপ হয়। একটা অবধারিত প্রশ্ন আসা উচিৎ নয় কি যে একজন সেনাপ্রধানের সাথে বেশ কয়েক ধাপ নিচের পদমর্যাদার একজন সামান্য কর্নেলের এত দহরম মহরম কেন? এই প্রশ্নটাই কিন্তু বহু উত্তর মিলিয়ে দিতে পারে। কোর্ট মার্শালে মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়। কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয় এরশাদের পছন্দসই লোকদের মাধ্যমে,যেখানে পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসারদের প্রাধান্য ছিল। ওই কোর্টে অভিযুক্তরা যে নিজেদের ডিফেন্ড করার মত যথেষ্ট সুযোগ পাননি, সে সংক্রান্ত বয়ান পাওয়া যায়  জেনারেল(অবঃ) বীর প্রতিক ইবরাহিম এর সাক্ষাৎকারে। তিনি ওই কোর্টে অভিযুক্তদের ডিফেন্ডিং কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

তার মানে একটা ব্যাপার খুব স্পষ্ট। জিয়া হত্যার আশেপাশে যারা ছিল বা যাদের দূরবর্তী কোন যোগাযোগও ছিল এমনকি যাদের আদৌ যোগাযোগ ছিল কিনা, এমন সন্দেহও ছিল,এমন অফিসারদের দ্রুত ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ১৩ দিনের বিচারে। এই ১৩ জনের ভেতর ১২ জন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, এমনকি রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্তও ছিলেন কয়েকজন।

জেনারেল মঞ্জুরকে বাঁচিয়ে রেখে ট্রায়ালের মুখোমুখি করলে হয়ত বহু অজানা তথ্য বের হয়ে আসতে পারতো। ঘটনার মূল হোতাকে খুঁজে পাওয়া যেতো। এইজন্য পরিকল্পিতভাবে মঞ্জুরকে এরশাদের ইঙ্গিতে গুলি করে মারা হয় জিয়া হত্যার মাত্র দুই দিনের মাথাতেই ২ জুন, ১৯৮১-তে।

জিয়াও নাই, এরশাদবিরোধী জেনারেল মঞ্জুরও নাই, জিয়াকে হত্যাকারী অফিসারগুলোও নাই— প্লটটা কি ধরতে পারছেন? দিনশেষে এই পুরো ঘটনার একমাত্র লাভবান ব্যক্তিটি কে তাহলে? দুর্বলচিত্তের সাত্তারকে হটিয়ে দেশের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাটা ছিল এরশাদের জন্য উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা মাত্র!

একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখুন, এই যে আওয়ামী লীগ সবসময়ই অভিযোগ করে বিএনপি কেন জিয়া হত্যার বিচার করেনি,আচ্ছা, বিচারটা করবে কাদের? প্রায় সবাই তো ততক্ষণে মৃত। জিয়ার মৃত্যুর ২ দিনের মাথায় জেনারেল মঞ্জুর, কর্নেল মতিউর, লে. কর্নেল মাহবুবকে হত্যা করা হয়েছিল, ১৩ জন অফিসারকে তড়িঘড়ি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল,বাকীদের কারাদণ্ড দেওয়া হল। তাছাড়া পলাতক দুইজন মেজর খালেদ ও মেজর মুজাফফর পরে বিদেশে মারা গেল।

কোন অপরাধী যদি বেঁচে থাকতো তখন, সেটা ছিল এরশাদ। কিন্তু এরশাদের অপরাধ প্রমাণের জন্য যাদের সাক্ষ্য প্রমাণ দরকার ছিল,এরশাদ তাদের সবাইকে ততক্ষণে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে!

আর একটা কথা হল, জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করার বহু বছর পর ১৯৯৫ সালে এসে মঞ্জুরের ভাই একটা মামলা করে। এরশাদকে করা হয় সেই মামলার ১ নং আসামী। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। কোন সিদ্ধান্ত আসে নাই নানা কারণে। এরমধ্যে ২০১৯ সালে এরশাদ মৃত্যুবরণ করলে ওই মামলা থেকে এরশাদের নাম বাদ পড়ে যায়।

একটু খেয়াল করে দেখুন, ১৯৯৫ সালে যখন এরশাদের নামে মামলা রুজু করা হল তখন কোন সরকার ক্ষমতায় ছিল? খালেদা জিয়ার প্রথম সরকার। তার মানে এরশাদের বিরুদ্ধে বিএনপি আমলে একেবারে কিছুই করা হয় নাই, এই তথ্যটা যারা দেয়, তাদের তথ্যের ঘাটতি আছে। পরবর্তীতে এরশাদকে কব্জায় রাখায় একটা মাধ্যম হিসাবে মামলাটাকে ব্যবহার করেছে পরবর্তী সরকার।এরশাদ যাতে সীমাহীন আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে,তাকে চাপে রাখার একটা উপায় ছিল এই মামলা। এরশাদকে তার পরবর্তী জীবনে আনুগত্যের জীবনই পালন করতে হয়েছে।

এরশাদকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা আওয়ামী লীগ যদিও করে, একটু চিন্তা করে দেখেন তো এরশাদ কাদের সাথে জোট করে থাকতো? কোন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিল সে ?এমনকি মরার দিন পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।

আরও একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দেই, জিয়া হত্যাকাণ্ডের একজন আসামী ক্যাপ্টেন(অবঃ) গিয়াসউদ্দিন আহমদ কিন্তু আওয়ামী মনোনয়নে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এমপি হয়েছিল!

লম্বা এই আলোচনার যদি কনক্লুশন টানি, তাহলে যে সিদ্ধান্তে আসা যায় তা হল— বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার দাবি করেনাই,এটা অবশ্যই একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের জন্ম দেয়। এর কারণ হয়ত বিএনপির রাজনৈতিক কমান্ড ভালো বলতে পারবে।

তবে ঠিক যেই আঙ্গিকে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে খোঁটা দেয় যে জিয়া হত্যার বিচারে বিএনপি কেন কোন ধরনের কোন পদক্ষেপ নিলো না, সেটাও পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ, সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবার কেমন কী পরিণতি হয়েছিল,তা ওপরের লেখার মাধ্যমে আশা করি স্পষ্ট হয়ে গেছে এতক্ষণে। আর একটা কারণ হতে পারে, আওয়ামী লীগ যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডকে তাদের প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসাবে সামনে নিয়ে আসে সবসময়, বিএনপি হয়ত জিয়ার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটাকে সেভাবে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা আকারে প্রতিষ্ঠিত না করে ঘটমান রাজনীতি নিয়েই কাজ করতে চেয়েছে। কারণ, বিচারটা করবে কার? যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তো ততক্ষণে মৃত!

কাজেই যারা প্রচার করার চেষ্টা করে যে বিএনপি কেন জিয়া হত্যার বিচার করলো না কিংবা বিএনপি জিয়ার হত্যার বিচার মোটেই চায় না, তাদের এই ধরনের প্রচারণা বাস্তবতার চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত কথাবার্তা এবং তাদের এই দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *