২৩তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে জোকোভিচের ইতিহাস

:: ক্রীড়া ডেস্ক ::

ইতিহাস গড়লেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে মোট ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম নিজের করে নিলেন তিনি।

ইনজুরির কারনে নাদালের অনুপস্থিতিতে তিনি শুধু ফরাসি ওপেন জিতলেনই না, ভেঙে দিলেন স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের নজির। নিজের ক্যারিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় করলেন জোকার। ট্রফির বিচারে বিশ্বের সেরা এখন জোকোভিচ। 

রোববার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে নরওয়ের ক্যাসপার রুডকে ৭-৬, ৬-৩ ও ৬-৫ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। এই নিয়ে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন জোকোভিচ। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা নাদাল নেমে গেলেন দুইয়ে।

এদিন ম্যাচ জিততে প্রথম সেটে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাকে। তুমুল লড়াইয়ের পর জেতেন ৭-৬ ব্যবধানে। পরের সেটে রুডকে তেমন লড়তে দেননি জোকোভিচ। শেষ সেটেও হয় জম্পেশ লড়াই। শেষ পর্যন্ত সহজাত মুন্সিয়ানায় ম্যাচ বের করে নেন ৩৬ পেরুনো তারকা।

২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ১০টি, উইম্বলডন ৭টি, ইউএস ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন তিনি ৩বার। জোকোভিকচই প্রথম টেনিস খেলোয়াড় যিনি চারটি মেজর টুর্নামেন্ট অন্তত তিনবার করে জিতেছেন। 

শেষ ৫২ বছরে প্রথম এবং ৯০ বছরের ইতিহাসে কেবল তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রত্যেকটি গ্রান্ড স্লাম অন্তত দুবার জয়ের রেকর্ড গড়লেন নোভাক জোকোভিচ। আর এন কীর্তি গড়তে নিজের ক্যারিয়ারের সবথেকে সেরা এবং ক্লান্তিকর ৪৮ ঘন্টা কাটালেন। অনুশীলন বাদ দিলেও এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৯ ঘন্টাই কাটিয়েছেন টেনিস কোর্টে। শুক্রবার হারিয়েছেন নাদালকে, রবিবার গড়লেন ইতিহাস। ক্যারিয়ারের ১৯ তম গ্রান্ডস্লাম জয়ের দিনে যেন নিজেকে মেশিন মানবে পরিণত করেছিলেন। প্রথম দুই সেট হেরেও এমন এক প্রত্যাবর্তন করেছেন যাতে ভেঙেছে এক কুসংস্কার। নাদালকে হারিয়ে প্রপথমবারের মতো কেউ ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার নজির গড়লেন। 

নাদাল-ফেদেরার সর্বোচ্চ ২০ গ্রান্ডস্ল্যামের রেকর্ডটাও নিজের দখলে নেয়ার অপেক্ষায় ৩৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান। আর তেমনটা চলতি বছরেই হয়ে যেতে পারে। উইম্বলডন আর ইউএস ওপেনে জোকোভিচ দাপট দেখা গেলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০ টি শিরোপা শোকেজে উঠাবেন জোকোভিচ।

জোকোভিচের ইতিহাস গড়ার দিনে হৃদয় ভেঙেছে ২২ বছর বয়সী সিসিপাসের। প্রথম গ্রিক হিসেবে ক্লে কোর্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে ‘নতুনদের আগমনী বার্তা’টা ভালোই দিয়েছিলেন। তবে টেনিস দেবতা শেষ হাসি হেসেছেন বর্তমানের পক্ষে। সিসিপাসের চেয়ে একেবারে এক যুগের বড় জোকোভিচের কাছে অভিজ্ঞতার বিচারেই অনেকটা পিছিয়ে থাকা সিসিপাস দাপট দিয়ে শুরু করলেই লাগামটা ধরে রাখতে পারেননি। ফলে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে রূপালি প্লেটটাতেই খুশী থাকতে হচ্ছে তাকে। তাই বা মন্দ কি? পরাজয়টা তো হয়েছে টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরার কাছে। হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে নাদাল-ফেদারার-জোকোভিচ অধ্যায়টা তাদের হাতেই লেখা হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *