ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৫,৮১০ কোটি টাকা

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবারও মূল্য সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছে। আজ ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটির ঘরে অবস্থান করছে। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ডিএসইতে ৩৯০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ৫১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে  ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে।

ডিএস৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে  দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৩ পয়েন্টে।

দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের ইউনিটের বাজার মূলধন কমে গেছে পাঁচ হাজার ৮১০ কোটি টাকার বেশি। এর আগের কার্যদিবসেও এক হাজার ১৩৬ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। এ দুই দিনের ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন কমে যায় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১টির, কমেছে ৩৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৯৫ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের এই বিপর্যস্ত অবস্থার প্রধান কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ। আমাদের বাজার অতিমাত্রায় ব্যক্তি বিনিয়োকারী (Retail Investor) নির্ভর বলে উদ্বেগের প্রভাব পড়েছে অনেক বেশি। এরা অনেক আবেগপ্রবণ। আছে পেশাদারিত্বের অভাব। তাই সামান্য নেতিবাচক খবরেও আতঙ্কিত হয়ে উঠে। এবার তাদেরকে তীব্রভাবে আতঙ্কিত করে তুলেছে তিনটি বিষয়। বিষয়গুলো হচ্ছে-বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আপত্তি, জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকট লাঘবে সরকারের নতুন নির্দেশনা ও বাজারে কারসাজি সংক্রান্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে সৃষ্ট উদ্বেগ।

উল্লেখ, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে সরকার আইএমএফের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সফর করছে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশের রিজার্ভের হিসাবগণনা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের হিসাব দিচ্ছে, সেখানে ফাঁকি আছে। প্রকৃতপক্ষে এই রিজার্ভ সাত/আটশ কোটি ডলার কম হবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের এই বক্তব্যে দেশের সাধারণ মানুষের মতো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারা মনে করছেন, আইএমএফের বক্তব্য ঠিক হয়ে থাকলে, তা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য বেশ উদ্বেগজনক। প্রকৃত রিজার্ভ কম হয়ে থাকলে এক সময় হয়তো জ্বালানি তেল ও খাদ্য পণ্যের মতো অতি জরুরি পণ্য আমদানিকেও ব্যাহত করতে পারে। তাতে গতি হারাবে দেশের অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব আরও বেড়ে যাবে। মান হারাবে টাকা। এই আতঙ্ক প্রবল হয়ে উঠলে তারা নতুন করে শেয়ার না কিনে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তাতে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে গেলে তীব্র দর পতন শুরু হয়ে যায়।

অন্যদিকে সোমবার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, পরদিন থেকে সারাদেশে লোডশেডিং চলবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে। এই খবর বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দেয়। লোডশেডিংয়ের চেয়েও পাম্প বন্ধরাখার ঘোষণা বেশি আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। অনেকেই মনে করতে থাকেন, দেশে জ্বালানী তেলের মজুদ হয়তো অনেক কমে গেছে, আর নতুন করে তেল কেনা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে; নইলে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হবে কেন? তাদের কেউ কেউ বিষয়টির মধ্যে শ্রীলংকার সঙ্কটের প্রথমদিকে অবস্থার আভাস দেখতে পান। এতে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ নগদায়ন করে রাখার হিড়িক শুরু হয়ে যায়।

ধারাবাহিক পতনে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে পুঁজিবাজার। গতকালও ৯৪ শতাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দর কমায় ডিএসইর প্রধান সূচকের বড় ধরনের পতন দেখা গেছে, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যহারে কমে যায় বাজার মূলধন।

দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের ইউনিটের বাজার মূলধন কমে গেছে পাঁচ হাজার ৮১০ কোটি টাকার বেশি। এর আগের কার্যদিবসেও এক হাজার ১৩৬ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। এ দুই দিনের ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন কমে যায় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এতে বাজারে ক্রেতা সংকটের ফলে ক্রমাগত পতন দেখা গেছে। 

অন্যদিকে গতকাল বড় পতনে এদিনে সূচক হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৮৮ পয়েন্ট, যা মূল সূচকের প্রায় দেড় শতাংশ। গতকাল সূচকের পাশাপাশি ৭৮ কোটি টাকার লেনদেনও কমেছে। এর আগের কার্যদিবসেও সূচকের পতন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে দিন যত যাচ্ছে ততই বাজার নিয়ে অনাস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

২৪০ কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই

লেনদেন শুরুর পর ক্রেতা থাকলেও ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে যেতে থাকে। এতে করে এই ২৪০ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার মতো বিনিয়োগকারী থাকলেও ক্রেতাশূন্য হয়ে পরে শেয়ারগুলি।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, আমান কটন, এসিআই ফর্মুলেশনস, একমি পেস্টিসাইডস, এক্টিভফাইন কেমিক্যালস, এডিএন টেলিকম, এডভেন্ট ফার্মা, এএফসি এগ্রো বায়োটেক, আফতাব অটো, অগ্নি সিস্টেমস, অগ্রণী ইনস্যুরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস, আলিফ ম্যানুফেকাচারিং কোম্পানি, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান ফিড, এম্বি ফার্মা, এএমসিএল (প্রান), আনলিমা ইয়ার্ন, এসোসিয়েট অক্সিজেন, এপেক্স ফুডস, এপেক্স ট্যানারি, এপোলো ইস্পাত, আরগন ডেনিম, এশিয়ান ইনস্যুরেন্স, এশিয়া পেসিফিক ইনস্যুরেন্স, এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বারাকা পাওয়ার, বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিবিএস, বিডি অটোকার, বিডিকম অনলাইন, বিডি ফাইন্যান্স, বিডি ল্যাম্পস, বিডি থাই এলুমিনিয়াম, বিডি থাই ফুড, বিডি ওয়েল্ডিং, বীচ হ্যাচারি, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিএসআরএম, বিএসআরএম স্টিলস, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিটিজেন ইনস্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ঢাকা ডাইং, ডেফোডিল কম্পিউটার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, ডেসকো, দেশবন্ধু পলিমার, দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, ঢাকা ইনস্যুরেন্স, ডোমিনেজ স্টিল, ডোরিন পাওয়ার, দেশ গার্মেন্টস, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইস্টার্ন হোল্ডিংস, এমারেল্ড অয়েল, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, ইভেন্স টেক্সটাইলস, ফ্যামিলি টেক্স, ফার কেমিক্যাল, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, ফেডারেল ইনস্যুরেন্স, ফাইন ফুডস, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুডস, জিবিবি পাওয়ার, জেমিনি সী ফুড, জেনেক্স ইনফোসিস, জেনারেশন নেক্সট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, গোল্ডেন সন, জিপিএইচ ইস্পাত, জি কিউ বলপেন, গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, হক্কানি পাল্প  অ্যান্ড পেপার, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, হামিদ ফেব্রিকস, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, আইসিবি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইফাদ অটোস, আইএফআইসি ব্যাংক, ইমাম বাটন, ইনটেক, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইসলামিক ইনস্যুরেন্স, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, আইটি কনসালট্যান্ট, জনতা ইনস্যুরেন্স, জেএমআই হসপিটাল, জেএমআই সিরিঞ্জ, জুট স্পিনার্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ, খান ব্রাদার্স পি পি ওভেন, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং, কাট্টলি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, লাফার্জ হোলসিম, লিব্রা ইনফিউশনস, লাভেলো, লুব-রেফ বাংলাদেশ, ম্যাকসন স্পিনিং মিলস, মালেক স্পিনিং মিলস, মতিন স্পিনিং মিলস, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, মেঘনা ইনস্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেট্রো স্পিনিং, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস, মাইডাস ফাইন্যান্স, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, মীর আখতার, এম এল ডাইং, মুন্নু এগ্রো, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু ফেব্রিকস, বাংলাদেশ মনোসপুল পেপার, নাভানা সিএনজি, নিউলাইন ক্লোথিংস, ন্যাশনাল ফিড মিল, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, নিটল ইনস্যুরেন্স, নর্দার্ন জুট ম্যানুফেকচারিং, নর্দার্ন ইসলামি ইনস্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার, এনআরবিসি ব্যাংক, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, ন্যাশনাল টিউবস, নূরানী ডাইং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, পেপার প্রসেসিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, দি পেনিনসুলা চিটাগং, পিপলস ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স, রবি, সাইফ পাওয়ারটেক, সী পার্ল, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী পেপার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সামিট পাওয়ার, তাকাফুল ইনস্যুরেন্স, তিতাস গ্যাস, ইয়াকিন পলিমার, জাহিন স্পিনিং, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।

লেনদেনের শীর্ষে বিএটিবিসি

মঙ্গলবার লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার কোম্পানিটি ১৯ লাখ ৯ হাজার ৭৩৫টি শেয়ার হাতবদল করেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গ্রামীণফোন, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এইচ.আর টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোনালী পেপার, স্কয়ার ফার্মা ও ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।

ব্লক মার্কেটে ২০ কোটি টাকার লেনদেন

মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২৯ লাখ ৪ হাজার ৭৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজ লিমিটেডের। কোম্পানিটি ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ৫ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

এইচ.আর টেক্সটাইল লিমিটেড ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমরা নেটওয়ার্কস, এডিএন টেলিকম, বিএটিবিসি, বিডিকম অনলাইন, বিডি ফিন্যান্স, বিডিথাই অ্যালুমিনিয়াম, বীকন ফার্মা, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীণফোন, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফিন্যান্স, আইসিবি অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইডিএলসি ফিন্যান্স, আইপিডিসি ফিন্যান্স, কেডিএস এক্সেসরিজ, লাভেলো আইসক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, ফনিক্স ফিন্যান্স, পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম ব্যাংক আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, প্রাইম টেক্সটাইল, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তিতাস গ্যাস ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *