ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বুধবার ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন। 

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, মামলাটিতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মো. ইউনূসকে অব্যাহতি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারক তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে হাজিরা দিতে হবে। এছাড়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়া পরবর্তী তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।  

বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে বুধবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে উপস্থিত হন আদালতে। তার উপস্থিতিতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে বাদীপক্ষে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর গত ২০ নভেম্বর ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামীর ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর ৬ নভেম্বর তাকে আসামীপক্ষ জেরা করেন। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদি শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

গত ৬ জুন ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অন্যরা হলেন-এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান। 

৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। 

গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *