জনঘনত্ব বিবেচনা করে নতুন ড্যাপ অনুমোদন

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

এলাকার ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং জনঘনত্ব বিবেচনা করে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে রাজউকের নতুন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এ। এমনটাই জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক। সংস্থাটি বলছে, বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা শহরের অতি নিম্ন অবস্থানের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও অধিক জনঘনত্ব। তাই ঢাকার বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে নাগরিক সুবিধাদি ও পরিষেবার বিপরীতে জনসংখ্যা নির্ধারণ করেই ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নতুন ড্যাপে রাজউকের আওতাধীন এলাকাকে ৬টি প্রধান অঞ্চল ও ৭৫টি উপ–অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এতে জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ব্লক ভিত্তিক আবাসন ব্যবস্থা; মেট্রো ও রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও নদীবন্দরকেন্দ্রিক ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন; ভূমি পুনঃ উন্নয়ন এবং নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ড্যাপের কপি হাতে না পাওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিতে পারছেন না। তবে তিনি আশা করেন, রিহ্যাবের দেওয়া আপত্তি ও পর্যবেক্ষণ বিবেচনা করে ড্যাপ হয়েছে।

ড্যাপে উন্নয়ন স্বত্ব বিনিময়ের (টিডিআর) কৌশলও যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এটি রাখা হয়েছে মূলত ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমি ও জলাভূমি রক্ষার জন্য। ড্যাপে কোনো জমিকে কৃষি বা জলাভূমি হিসেবে চিহ্নিত করলে সেই জমির অন্য কোনো ব্যবহারের সুযোগ নেই।

ফলে জমির মালিক জলাভূমি ভরাট করেন বা কৃষিজমিতে ভবন করেন, উন্নয়ন স্বত্ব বিনিময়ের পদ্ধতিতে কৃষি বা জলাভূমির মালিককে একটি সনদ দেওয়া হবে। ওই সনদ তিনি বিক্রি করতে পারবেন। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওই সনদ কিনবে, তারা অন্য জায়গায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে।

  • :::: এক নজরে নতুন ড্যাপের সারসংক্ষেপ ::::
  • নতুন ড্যাপ কার্যকর থাকবে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত।
  • ঢাকা উদ্যান হাউজিং ও আশপাশের এলাকা আবাসিক ঘোষণা।
  • ভবনের উচ্চতা নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিক সুবিধা ও সড়কের প্রশস্ততা অনুযায়ী।
  • ঢাকা মহানগরে ৮৬টি পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব।
  • ঢাকায় জলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌপথের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।
  • রাজউকের আওতাধীন এলাকায় আবাসিক ভবনের উচ্চতার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।
  • অবশ্য এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) ব্যবস্থা হয়েছে। যে ব্যবস্থায় এলাকার নাগরিক সুবিধা ও রাস্তার প্রশস্ততা অনুযায়ী ভবনের আয়তন নির্ধারিত হবে।
  • গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন ড্যাপের অনুমোদন দেয়।
  • ২০১০ সালে পাস হওয়া পুরোনো অঞ্চল পরিকল্পনা বাতিল হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন ড্যাপ ২০৩৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

নতুন ড্যাপে ঢাকায় জলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌপথের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ভূমি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় মোট এলাকার মাত্র শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ উন্মুক্ত আছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।

এমন অবস্থায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৫টি বৃহৎ আঞ্চলিক পার্ক, ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্ক, ২৬টি পার্ক (ইকোপার্কসহ) নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে কেরানীগঞ্জে ৪২৫ একর জায়গায় একটি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক নগর পরিকল্পনা অনেকদূর এগিয়ে গেলেও দেশের নগর এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার ধারণা এখনও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। বাসযোগ্য নগর গড়তে জনঘনত্ব পরিকল্পনার বিষয়টি উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য নগর এলাকার পরিকল্পনায় এই মৌলিক বিষয়টি অনুপস্থিত। সে কারণে শহর এলাকাগুলো বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা শহর অতি নিম্ন মানে অবস্থানের অন্যতম কারণও এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও অধিক জনঘনত্ব।

পরিকল্পনাবিদরা আরও বলছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় জনসংখ্যা, জনঘনত্ব এবং শহরের বিদ্যমান অবকাঠামো ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সাপেক্ষে শহরের ভারবহন ক্ষমতা বিবেচনা না করা হলে যে কোন শহর তার বাসযোগ্যতা হারাবে। ঢাকা যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাই গ্রহণ করা পরিকল্পনা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করে ঢাকাকে বাঁচানোর তাগিদ তাদের।

ড্যাপের জরিপে বলা হয়েছে, একটি বড় শহরের জনঘনত্বের জন্য মানদণ্ড ধরা হয় প্রতি একরে ৭০ থেকে ৮০জন। যা কেন্দ্রীয় শহর এলাকায় সর্বোচ্চ ১২০ পর্যন্ত হতে পারে। জাপানের টোকিও শহরের কেন্দ্রীয় এলাকার ওয়ার্ড সমূহের জনঘনত্ব একরপ্রতি ৯০ জনের নিচে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রতি একরে সর্বোচ্চ জনঘনত্ব ৫৮ জন। 

ড্যাপে আরও বলা হয়েছে, সব পরিকল্পিত শহরের জনঘনত্ব প্রতি একরে ৮০ জনের নিচে। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের জনঘনত্ব যেখানে ১১২ এবং অন্যান্য এলাকার ঘনত্ব প্রতি একরে ৬০ এর নিচে। আর এসবের বিপরীতে ঢাকার লালবাগ, বংশাল, সবুজবাগ, গেন্ডারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার জনঘনত্ব প্রতি একরে ৭০০ থেকে ৮০০ জন বা তার ঊর্ধ্বে। যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু সেখানে অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধা পরিকল্পনার সকল মানদণ্ড ও সূচকে খুবই অপ্রতুল।

এ অবস্থায় নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, যথাযথভাবে জনঘনত্বের বিষয়টি প্রয়োগ না করায় ঢাকা শহরের সরকারি ও বেসরকারি আবাসিক এলাকাগুলোও ক্রমান্বয়ে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। বসুন্ধরা ও আফতাবনগরসহ অন্যান্য বেসরকারি আবাসন প্রকল্পে জনঘনত্ব প্রতি একরে ৩৫০ জন ধরে অনুমোদন প্রদান করা হলেও সর্বোচ্চ পার এরিয়া রেশিও (পার) সুবিধা নিয়ে এ সকল এলাকার জনঘনত্ব এখন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিণত হচ্ছে। রাজউকের উত্তরা মডেল টাউন প্রকল্পে শুরুতে প্রতি একরে জনঘনত্ব ৯৫ জন করে ধরা হয়েছিল। সে অনুযায়ী নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার কাজ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে উত্তরা এলাকার জনঘনত্ব অনেক বেশি। পূর্বাচল প্রকল্পটির প্রতি একরে ২৪৫ জন ধরে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার কাজ শুরু করা হয়।  এ অবস্থায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে ভবনের অনুমোদন দিতে হবো। 

প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে শুধু ভবনের সামনের রাস্তার উপর ভিত্তি করে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করে অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু নগর পরিকল্পনার দৃষ্টকোণ থকে একটি প্লটের উপর নির্মিত ভবনের আকার আয়তন কেমন হওয়া উচিত তা শুধুমাত্র প্লটসংলগ্ন রাস্তার প্রশস্থতার উপর নির্ভর করে না। বরং সেই নগর এলাকার পরিকল্পনা সম্পর্কিত অবকাঠামো ও নাগরিক সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হয়। এরমধ্যে সড়ক অবকাঠামো, সামাজিক সুবিধা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, উন্মুক্ত স্থান ও খেলার মাঠ, পার্ক, উদ্যান, জলাশয় ও জলাধার অন্যতম। এসব নিশ্চিত হলে ওই এলাকার ভারবহন ক্ষমতা নির্ণয় করে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা নির্ধারণ করবার মাধ্যমে সেই এলাকার জনঘনত্ব নির্ধারণ করে প্রতি প্লটে কি পরিমাণ পরিবার বা মানুষকে ধারণ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে পরিকল্পনার কৌশল ও পন্থা নির্ধারণ করা হয়। আর প্রস্তাবিত ড্যাপে এসবই সুপারিশ করা হয়েছে।

সার্বিক বিবেচনায় ঢাকাকে বসবাস অযোগ্যতার হাত থেকে বাঁচাতে হলে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলে মনে করছে ড্যাপ। এছাড়াও ঢাকার খোলা জায়গা, জলাভূমি কমে যাবার ফলে এবং পরিকল্পনামাফিক অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধাদি তৈরি না করবার ফলে জনসংখ্যা ধারণ ক্ষমতা কমে গিছে। তাই এলাকাভিত্তিক  জনঘনত্বকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারিত জনসংখ্যা ঠিক করতে হবে। তা না হলে সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে বলে মনে করছে রাজউক। সংস্থাটি আরও বলছে, ইতিপূর্বে ঢাকাসহ দেশের পরিকল্পনা এবং আইন ও বিধিমালাগুলোতে জনঘনত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যার ফলে  ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেছে। একইসাথে পরিবহন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ভেংগে পড়েছে ।

ড্যাপ পরিচালক ও রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০১৬-৩৫) প্রণয়নে জনঘনত্ব পরিকল্পনার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা বাসযোগ্য ঢাকা গড়বার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই মহাপরিকল্পনায় ব্লক-বেসড উন্নয়ন, মেট্রো স্টেশনের আশে পাশে ট্রানজিট ভিত্তিক উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে জনঘনত্বের ইনসেনটিভ দেওয়ার প্র-বিধান রয়েছে। এছাড়া সময়ের বিবর্তনে একটি এলাকার নাগরিক সুবিধাদি ও সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতি ঘটলে অধিক জনঘনত্ব প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গড়ে ৬৫০ বর্গ ফুট আয়তনের ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবনা এই মহাপরিকল্পনায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নানা বাধার কারণে ২০১০ সালের প্রথম ড্যাপ বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমান ড্যাপের গ্যাজেট দ্রুত প্রণয়ন করা দরকার। তা না হলে প্রভাবশালীরা বাধা দিতে থাকবে। এরই মধ্যে তার নমুনাও দেখা যাচ্ছে। আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের অভিযোগ আবেগ নির্ভর, যুক্তি নির্ভর নয়। এটা দুঃখজনক।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজউকের এখতিয়ারভুক্ত ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ঢাকা মহানগর এলাকার ড্যাপের (২০১৬–২০৩৫) খসড়া ২০২০ সালে প্রকাশ করা হয়। এরপর খসড়ার ওপর সুপারিশ ও আপত্তি দাখিল করার জন্য সবার কাছে আহ্বান জানানো হয়। পরে আপত্তি ও সুপারিশ বিবেচনা করে মহাপরিকল্পনাটি অনুমোদন করা হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। পাশাপাশি ২০১০ সালে পাস হওয়া ড্যাপ রহিত করা হলো। কিন্তু প্রজ্ঞাপন প্রকাশের আগপর্যন্ত ২০১০ সালের ড্যাপের অধীনে যেসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বৈধ বলে গণ্য হবে।

গত ২৩ জুন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. বরকাতুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত রূপরেখা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) (২০১৬ -২০৩৫) সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

এর আগে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করে এর ওপর আপত্তি বা সুপারিশ দাখিল করার জন্য আহ্বান জানায়।

সর্বসাধারণের কাছ থেকে পাওয়া আপত্তি বা সুপারিশ বিবেচনা করে এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *