নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিতে মকবুল হোসেন (৪৩) নামের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পল্টনে সংঘর্ষে নিহত মকবুল হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী হালিমা বেগম।

বুধবার বিকেল তিনটার দিকে পল্টনে সংঘর্ষেের সময় পুলিশের গুলিতে আহত মকবুলসহ প্রায় ২০ থেকে ২২ জনকে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মকবুল হোসেন( ৪৩) কে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পড়েছিল। তার পিঠে অসংখ্য ছররাগুলির চিহ্ন ছিল। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসতে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, পল্টনের এ ঘটনায় ২০/২২ জন পুলিশের ছররাগুলি এবং টিয়ার সেলে আহত হয়। এদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা হলেন শামীম আহমেদ (২৫) রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এবং অন্যজন হলেন মোঃ মনির হোসেন (২৭) স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী। অন্যান্য আহতরা হলেন,ইয়াসমিন আরাফাত আলিফ (২৪)জসিম উদ্দিন হলের ছাত্রদল কর্মী।

রনি (২৪) মনির হোসেন (২৫) আনোয়ার ইকবাল (২৫) রাশেদ (৩০) সাংবাদিক খোকন (৪০) মোঃ হানিফ (৩০)। আমিনুল ইসলাম, শেরেবাংলা নগর যুবদল কর্মী, মনির হোসেন শাহবাগ থানা যুবদল কর্মী, আসাদুজ্জামান, বিপ্লব হাওলাদার, মকবুল হোসেন, মোঃ সুলতান আহমেদ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, জনি।

নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছোট ভাই বিএনপির করে এবং বিএনপির সমর্থক। কিন্তু সে কোনও পদে নাই আমার জানা মতে।

তবে নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম রাজনীতির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী জুতার কারচুপির ব্যবসা করেন। সে মার্কেটে তাগাদায় বের হয়েছিল। আমার স্বামী কোন রাজনীতি করেন না। এই বলে তিনি চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে কাঁদতে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার পদিনির চর গ্রামে। নিহত মকবুল আব্দুস সামাদের ছেলে। বর্তমানে মিরপুর ১১ এর পল্লবী বাউনিয়াবাদ এ ব্লকের ১২ লাইনের ৮ নাম্বার বাসায় বসবাস করতেন। আমার স্বামী চার ভাই সে সবার ছোট। আমাদের একমাত্র মেয়ে মিথিলা (৯) স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, সন্ধ্যার পর নিহত মকবুলের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী হালিমা বেগম। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক রাখা মর্গে হয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *