পবিত্র শবে বরাত আগামী ৭ মার্চ

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বুধবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। ফলে, আগামী ৭ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

মঙ্গলবার বাদ মাগরিব শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মহা. বশিরুল আলম ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

বশিরুল আলম জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরির শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ৮ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, আগামী ৯ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. বুধবার থেকে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৪ শাবান ১৪৪৪ হিজরি, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ মার্চ ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার দিনগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

শাবান মাস শেষে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ-অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন মুসলমানরা।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *