ধানমন্ডি লেক থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের পাড় রবীন্দ্র সরোবরের পাশ থেকে শাহাদাত হোসেন মজুমদার (৫১) নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহের ২০ গজ দূরে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার ভোরে রবীন্দ্র সরোবরের পাশ থেকে শাহাদাত হোসেন মজুমদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, কালো গেন্জি ও চশমা পরা একজনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন ভোরে লেকপাড়ে হাঁটতে আসা মানুষরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবার জানায়, রোজ সন্ধ্যায় লেকে হাঁটতে বের হতেন শাহাদাত। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে বের হন তিনি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে লেকপাড়ে তার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা হয় তার। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শাহাদাতের। পরে পুলিশের মাধ্যমে খুন হওয়ার কথা জানতে পারেন পরিবারের লোকজন।

প্রাথমিকভাবে শাহাদাত ছিনতাইকারীর হাতে খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যাচ্ছে না।

এ নিয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শাহাদাতের শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, নিহত শাহাদাত হোসেন মজুমদার একটি বিদেশি জাহাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম আজমির সুলতানা। ১৯, নর্থ সার্কুলার রোড, কলাবাগানে পরিবারের সাথে থাকতেন শাহাদত। 

আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার (২৩ অক্টোবর) ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন। 

মৃতের বড় ভাই মোতালেব হোসেন জানান, শাহাদত কলাবাগানের বাসা থেকে রাতে ধানমন্ডি লেকে হাঁটাহাঁটি করতে যান। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসা থেকে বের হন তিনি।

রাতে বাসায় না ফিরলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে কোনো খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করা হয়।

এক পর্যায়ে জানা যায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ লেকের পার থেকে শাহাদতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত শাহাদত চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারী মজুমদারের ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। 

ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার আজিজুল হক স্বপন জানান, নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহের অদূরে একটি রক্তাক্ত ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে। 

মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *