প্রথম আলো সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন

:: নাগরিক প্রতিবেদক ::

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে রমনা থানার এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, ইমতিয়াজ মাহমুদ ও প্রশান্ত কর্মকার।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫-এর (২), ৩১, ৩৫-এ আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে।

এর আগে গত বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় করা ওই মামলায় সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামাও রয়েছেন।

মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।

গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে শেয়ারের সময় ‘গ্রাফিক কার্ড’ প্রকাশ করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে জাকির হোসেন নামে একজন দিনমজুরের নাম থাকলেও ছবি ছিল এক শিশুর। কিছুক্ষণ সময় পর উদ্ধৃতিদাতা ও ছবির অসঙ্গতির বিষয়টি সংশোধন করে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে মূল প্রতিবেদনের শিরোনামও সংশোধন করা হয়।

পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে এরই মধ্যে এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রথমটির বাদী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম মো. কিবরিয়া। অপরটির বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক, যিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *