বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্র তাই চায়

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাই চায়। যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার ব্রিফিংকালে এ কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি ও অন্য একজন সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ানরা।

ভারতের প্রভাব বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমাকে এটা বলতে হবে যে, আমরা এটা পরিষ্কার করেছি- যেমনটা আমরা প্রতিটি সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি তেমনিভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কূটনীতিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে বাধ্যবাধকতা মেনে চলা। আগের দিনও আমি বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব আছে প্রতিজনের। দায়িত্ব আছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের, ভোটারের, সরকারের, নাগরিক সমাজের এবং মিডিয়ার। আমরা যা চাই, বাংলাদেশি জনগণও তাই চায়। তাহলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। 

তার কাছে আবার জানতে চাওয়া হয়, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপ আহ্বান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা এবং বিরোধী শীর্ষ দুই নেতাসহ গ্রেফতার অভিযান নিয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়- মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের দু’জন নেতা নিহত হয়েছেন। ঢাকা থেকে শীর্ষ দু’জন নেতাকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিদিনই তারা বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। তাহলে আপনি কিভাবে বিশ্বাস করবেন যে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে? 

এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আগে যা বলেছি তা ছাড়া আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে কিছু বলবো না। আমরা বিশ্বাস করি এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।  আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলবো, জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে আমরা মনিটরিং করছি। সহিংসতার বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। বাংলাদেশে জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং অব্যাহত রাখবো। তাদেরকে আহ্বান জানাবো একত্রিত হয়ে কাজ করতে। 

অন্য একজন সাংবাদিক সারা দেশে বিরোধীদের সহিংসতার বিষয়ে অবহিত করেন। এ বিষয়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে কিনা জানতে চান। জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা আগেও বলেছি, কারো বিরুদ্ধে ভিসা বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে আমরা তা ঘোষণা করি না। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি, যা হতে হবে শান্তিপূর্ণ।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *