বাংলাদেশের পতাকা তৈরির নেপথ্য কাহিনী

১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ ও ইউসুফ সালাহউদ্দিন।

মজলিশ তৎকালীন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং সালাউদ্দিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশের নেতৃত্বে পূর্ব প্রস্তুতকৃত পতাকার চিন্তা মাথায় রেখে কাপড় জোগাড় করার চেষ্টা করা হয়। রাত বেশি হওয়ায় নিউমার্কেট তখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

নিউমার্কেটের অ্যাপোলো কাপড়ের দোকানের মালিক আজিমপুর শেখ সাহেব বাজারে থাকতেন। মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক চিশতী শাহ হেলালুর রহমানসহ নায়ক খসরু, বদিউল আলম, একরাম, রায়হান, ফেরদৌস, মধু, জগন্নাথ কলেজের নজরুল, লিটল কমরেড রফিক প্রমুখ সেই দোকানের মালিককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এসে নিউমার্কেটের দোকান খুলে কাপড় জোগাড় করেন। এরপর বলাকা সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় ছাত্রলীগের অফিসের পাশে পাক ফ্যাশন টেইলার্সে গিয়ে পতাকা সেলাই করা হয়।

পতাকাটি তৎকালীন ইকবাল হলে আনার পর ইউসুফ সালাহউদ্দিন লাল সূর্যের মাঝে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র আঁকেন। এ সময় পতাকায় পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্রকে সোনালি রং করার প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন জানা যায়, কুমিল্লার ছাত্রলীগ নেতা শিবনারায়ণ দাস সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে অবস্থান করছেন, তিনি পেইন্টিং জানেন। মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশের নির্দেশে তখনই ঢাকা নগর ছাত্রলীগের নেতা ফজলুর রহমান বাবুল শিবনারায়ণ দাসকে সলিমুল্লাহ হল থেকে ডেকে নিয়ে আসেন এবং তাকে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্রের ওপর সোনালি রঙের পেইন্ট করা হয়। এটাই বাংলাদেশের পতাকা তৈরির নেপথ্য কাহিনী।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *