গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ল

:: নাগরিক প্রতিবেদক ::

গ্রাহক পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এবার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাঁচ শতাংশ হারে। এতে করে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮ টাকা ২৫ পয়সা।  

সরকারের নির্বাহী আদেশে আজ মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

এর আগে গত জানুয়ারিতে দুই দফায় বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এটি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই ভাগে কার্যকর হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম।

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে এ বছর প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করছে সরকার। আজ বাড়ানোর মাধ্যমে গত ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম।

আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিটের দাম ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিটের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের দাম ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের দাম ১২ টাকা ৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও গত ১২ জানুয়ারি আরো ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে এ বছর প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করছে সরকার। তাই পুরো মার্চ মাস জুড়ে নতুন দাম কার্যকর থাকবে।

এর আগে এক মাসেরও কম সময়ে দুইবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।    

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ থেকে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন লাভের সময়েই দাম বৃদ্ধি করা হয়।

ঋণের জন্য আইএমএফের দেওয়া সংস্কারের শর্ত অনুসারেই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। 

আগে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করত এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আইন সংশোধন করে এ ক্ষমতা হাতে নিয়েছে সরকার। এরপর থেকে নির্বাহী আদেশে দাম বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় পিডিবি। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়। তবে বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ভর্তুকি পায় না। তারা নিয়মিত মুনাফা করছে। গত অর্থবছরেও মুনাফা করেছে বিতরণ সংস্থাগুলো।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *