বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য

:: বুয়েট প্রতিনিধি ::

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুয়েটে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্ররাজনীতি করা বন্ধ হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সেই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বুয়েট ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার।

রোববার নিজ কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এছাড়াও তিনি আরও বলেন রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে।

আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে  বলেও জানান সত্য প্রসাদ মজুমদার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে, সেটা সঠিক না বেঠিক, সত্য কি না, তা যাচাই করতে হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই করবে। তথ্য সংগ্রহ করবে, ঘটনা সত্যি কি না। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কেউ অপরাধ না করলে তাহলেও ব্যবস্থা নিতে হবে। সুতরাং সঠিক তথ্য জানার জন্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাস না হওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছে। এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা চলমান (ওপেন) আছে। পরীক্ষা শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী চলবে। যদি কেউ পরীক্ষা না দেয়, তাহলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চাইব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী পরীক্ষা অব্যাহত রাখুক, যাতে ক্যারিয়ার নষ্ট না হয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষা দিতে আসে, তখন বিবেচনা করা হবে। আজকের পরীক্ষায় দুজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানান উপাচার্য।

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে ছাত্রসংগঠনের দাবির প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে উপাচার্য বলেন, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যা যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তাঁদের আবার উদ্যোগী হতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। গতকাল তাঁরা পরীক্ষা বর্জন করে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *