ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ ২,৯৯,১১৯ কোটি টাকা

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে খাতটিতে ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সরকার সব ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

নভেম্বর মাস শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাড়িয়েছিলো ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর পরের মাসে ঋণ স্থিতি দাড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। এটি আরও বেড়ে নভেম্বর মাসে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।

এদিকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮৭ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। অপরদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারের রাজস্ব কমে গেলে তখন ঋণ নেয়। এখন সঞ্চয়পত্র বিক্রিও অনেক কম। সঞ্চয়পত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে সুদের হার। তাই কি কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি এতো কমেছে তার আসল কারণ এখনো পরিষ্কার না। তাই সরকারকে ঋণ নিতে হলে এখন ব্যাংক খাত থেকেই নিতে হবে। এসব কারণে ব্যাংকে সরকারের ঋণ বাড়ছে। গত নভেম্বরে সরকার সব টাকাই নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করেছিলো। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বেশি পরিমাণ ঋণ নেওয়া শুরু করে। সেসময় এক মাসেই ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেয় ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ বেড়েছে ২৮ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেয়ার লক্ষ্য সরকারের।

এদিকে, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *