মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারাগারে 

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।

এর আগে বিকেলে তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ। সেই জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ডিবির কার্যালয় থেকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়।

এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখায় ডিবি।

এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) ঘটনায় তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেফতার করেছি।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান দলের একজন নেতা।

৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

 ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ ঘিরে গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে দলটির নেতাকর্মীদের জমায়েত হওয়ায় পুলিশ তাদের সরাতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

দুই পক্ষের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।

সংঘর্ষের দিন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এ সংঘর্ষ শুরু হলো। সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

এ সংঘর্ষের পর আজ (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠেই হচ্ছে তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশ। 

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *