মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়ল

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে এসব সেবার গ্রাহকেরা দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা ও ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারবেন। গ্রাহকেরা দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আগে কার্ড থেকে টাকা জমার সীমা নির্দিষ্ট ছিল না, তবে দিনে ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যেত না।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিশোধ ব্যবস্থায় এমএফএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোভিড-১৯-এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমএফএসের আওতা ও লেনদেনের ব্যাপ্তি প্রসারের পাশাপাশি এ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এমএফএস ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে এমএফএসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এমএফএসের ব্যক্তি হিসাবের লেনদেনের সীমা পুনর্ন্ধিারণ করা প্রয়োজন।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সেবার গ্রাহকেরা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০ হাজার টাকা ও মাসে ২ লাখ টাকা জমা করতে পারবেন। আর ব্যাংকের হিসাব বা কার্ড থেকে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও মাসে ৩ লাখ টাকা জমা করা যাবে। গ্রাহকেরা দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এমএফএস হিসাবের স্থিতি কোনোভাবেই তিন লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না।

এমএফএসের গ্রাহকেরা একে অপরকে দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে প্রতি মাসে এমএফএসের একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই সীমার মধ্যে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। এছাড়া এই সংক্রান্ত আগে জারি করা প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য বিষয় অপরিকর্তিত থাকে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতদিন পারসোনাল অ্যাকাউন্টে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার  টাকা উত্তোলন করা যেতো। আর প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যেতো (এজেন্ট এবং এটিএম মিলে)।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *