সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস কারামুক্ত

:: নাগরিক প্রতিবেদক ::

জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।  সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। 

এর আগে দুপুরে  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় জামিন পান তিনি।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সোমবার বিকেল ৩টার দিকে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে শামসের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় শামসুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করেন।

শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন শুনানিতে বলেন, ‘সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ১২-১৩ জন ফুল বিক্রেতার বক্তব্য আর একজন দিনমজুরের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ মামলার অভিযোগ কোনোভাবেই সত্য নয়। হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা না করে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দেওয়া যেতে পারত। কারাগারে আটক শামসুজ্জামানের জামিন প্রার্থনা করছি।’

জামিনের বিরোধিতা করে পিপি আবদুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের উদ্দেশ্যে এসব কাজ করছে। এ মামলার বিষয়বস্তু অনুযায়ী আসামি অপরাধ করেছেন। এ মামলায় আসামির জামিনের বিরোধিতা করছি।’

শুনানিতে আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী নজিবউল্লাহ হিরু বলেন, ‘দেশের যখন স্বাধীনতা ছিল না, তখন স্বাধীনতার জন্য কথা বলা হয়েছে। এখন কি দেশে ভাতের স্বাধীনতা নেই? উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যার বক্তব্য প্রকাশ করা হলো, সেই জাকির কোথায়? সরকারের ভালো তাদের চোখে পড়ে না।’

গত ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে গত ২৯ মার্চ অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন। সে মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *