কাতারের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

কাতারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শীর্ষ কূটনীতিক শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানিকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার আমিরই দেওয়ানে এই শপথ নিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।

আরব নিউজ জানিয়েছে, শেখ খালিদ বিন খলিফা বিন আব্দুল আজিজ আল থানির স্থলাভিষিক্ত হবেন শেখ মোহাম্মদ। আব্দুল আজিজ আল থানি ২০২০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মোহাম্মদ ২০১৬ সাল থেকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা দেশটির আমিরের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সর্বশেষ মন্ত্রিসভা রদবদলে শেখ খলিফা বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আলী বিন আহমেদ আল-কুয়ারি এবং জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবিকে একই পদে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন কাতার আমির শেখ তামিম। ২০২২ কাতার সফলভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এই প্রথম দেশটির মন্ত্রিসভায় রদবল করা হলো।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বিস্তারিত তেমন কিছু জানানো হয়নি, তবে বলা হয়েছে-নতুন প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের ওপরই ভরসা করেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ তার পরিবারেরই সদস্য।

তবে সরকারপ্রধানের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক পরিচয়ের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেশের সংকটজনক মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার ব্যাপারটিও আমিরের বিবেচনায় ছিল।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ২০১৬ সালে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। তার পরের বছরই জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর।

প্রতিবেশী এসব দেশের নিষেধাজ্ঞার জেরে ভোগান্তিতে পড়েছিল উপসাগরীয় দেশ কাতার। ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় সৌদি আরব ও বাকি তিন দেশ। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির ব্যাপক ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *