৬৯ দিন জামিনে মুক্তি পেলেন শ্রমিক নেতা বাবুল

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

৬৯ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সেক্রেটারি বাবুল হোসেন। মঙ্গলবার রাত ৮টায় গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখ্তা‌র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গত ১০ জানুয়ারি জামিন পেলেও, আইনি জটিলতায় তিনি মুক্তি পাননি।

বুধবার গাজীপুরের জেলার মো. তারিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বাবুল হোসেনের জামিন হলেও আইনি জটিলতায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। কাগজপত্র ঠিক হলে তার মুক্তি পেতে বাধা নেই।’

শ্রমিকনেতা বাবুল হোসেনকে জেলগেটে ফুলের শুভেচ্ছা জানান গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভা প্রধান তাসলিমা আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া বাবুল হোসেন স্ত্রী পোশাকশ্রমিক লাইজু আক্তারও জেলগেটে উপস্থিত ছিলেন।

জামিনে মুক্ত হয়ে বাবুল হোসেন বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শ্রমিক আন্দেলন দমন এবং সামাজিক ও আর্থিকভাবে হয়রানি করার জন্য আমাকে জেলে পুরে রেখেছিল। আমি ন্যায়বিচার চাই; চাই সব শ্রমিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এখনো গাজীপুর জেলে শতাধিক শ্রমিক ও কয়েকজন নেতা বন্দী আছেন। তাঁদের সবার মুক্তি চাই।’

মঙ্গলবার রাতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার এক বিবৃতিতে জানান, ৬৯ দিন কারা নির্যাতন ভোগ করে জামিনে জেল থেকে বের হয়েছেন বাবুল হোসেন। পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্বমূলক ভূমিকার জন্যই তাঁকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ১৪ নভেম্বর গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে ৩০ অক্টোবরের গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, উচ্চ আদালতে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও মো. খায়রুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চে শ্রমিকনেতা বাবুল হোসেনের জামিন মঞ্জুর হয় ১০ জানুয়ারি। জামিন শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী  রিপন বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান।

গত ২০ ডিসেম্বর ২৪ ঘণ্টা রিমান্ড শেষে বাবুল হোসেনকে কারাগারে পাঠান আদালত। গত ১৪ নভেম্বর রাতে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা এলাকার চান্দনা চৌরাস্তা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হলে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

২১ নভেম্বর দুটি নিম্ন আদালত মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর এ বছরের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি।

বাবুলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া তখন বলেছিলেন, ‘বাবুলের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। মামলা দায়েরের ১৫ দিন পর গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *