সালাম-এ্যানির জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

ফলে এই দুই নেতার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।

একইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত মামলার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শাহেদ নূরউদ্দিন’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ বিএনপির এ দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন। 

আদালতে বিএনপির এ দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান, এজাজ কবীরসহ অনেকে।

আদেশের পর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আবদুস সালাম ও শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে ছয় মাসের অন্তর্ভুক্তিকালীন জামিন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তাদের জামিনে মুক্তি পেতে আর বাধা নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির এই দুই নেতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাদের সঙ্গের আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। আদালত আমাদের এই যুক্তি গ্রহণ করে জামিন দেন।’

তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৮ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ছয়মাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। এরপর ৯ জানুয়ারি আটক হওয়ার ৩২ দিন পর কারামুক্ত হন তারা।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *