:: সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ::
সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে। রোববার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
প্রবেশ লাল শর্মা সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের সিনিয়র অপারেটর হিসাবে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কাজ করে আসছেন।
প্রবেশ লাল শর্মার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন প্রবেশ লাল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার কদমরসুল সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হলো।
নিহত অন্য ছয়জন হলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মহিজল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার খিতিশ রংদীর ছেলে রতন নকরেক (৫০), নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), একই এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫) এবং সীতাকুণ্ডের জাফরাবাদ এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২)।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুপুরের দিকে সর্বশেষ নিহত সেলিম রিছিল মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত ছয়জনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত ১৮ জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আহত আরও দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সহায়তার টাকা দেওয়া যায়নি।